ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য আরও ৩ লাখ সেনা সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। তার এই ঘোষণার পর আতঙ্কে দেশ ছাড়ছেন লাখ লাখ নাগরিক। যুদ্ধ এড়াতে সীমান্ত এলাকায় যুবকদের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। অনেকে শুধু পাসপোর্ট নিয়েই ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছেন। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
বুধবার পুতিন জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে ভাষণে ‘আংশিক সেনা সমাবেশ’ করার ঘোষণা দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবার রাশিয়া এ ধরনের সেনা সমাবেশ করতে যাচ্ছে। ‘যেকোন উপায়ে রাশিয়ার আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষা’ করার হুমকি দিয়ে ইউক্রেনে লড়াইয়ের জন্য ৩ লাখ রিজার্ভ সেনা সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
তার ঘোষণার পর রাশিয়ার নাগরিকরা আতঙ্কে রয়েছেন। যুদ্ধে যাওয়া বয়সী যুবকদের সীমান্ত এলাকায় সবচেয়ে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। অনেকে গাড়ি নিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে অপেক্ষা করছেন সীমান্ত পার হতে।
তবে তা অস্বীকার করে ক্রেমলিন জানিয়েছে, যুদ্ধের জন্য উপযুক্ত যুবকদের দেশত্যাগের হিড়িকের খবর অতিরঞ্জিত।
বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, প্রতিবেশী জর্জিয়া সীমান্তে তরুণদের গাড়ির সংখ্যাই বেশি। ইউক্রেন যুদ্ধে অংশ না নিতে দেশ ছাড়ছেন তারা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক জানান, ঘর থেকে শুধু পাসপোর্ট নিয়েই বেরিয়ে পড়েছেন। কারণ ইউক্রেন যুদ্ধে পাঠানোর তালিকায় সম্ভবত তিনিও পড়েছেন।
কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, জর্জিয়া-রাশিয়া সীমান্তে আপার লারস চেকপয়েন্টে রাশিয়ার নম্বরপ্লেট লাগানো অনেক গাড়ি লাইন ধরে পার হচ্ছে। প্রচুর গড়ি জমে যাওয়ায় যেখানে রীতিমত দীর্ঘ যানজট। কেউ কেউ বলছেন, ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত গাড়ির সারি। সীমান্ত পাড়ি দিতে কারও ৭ ঘণ্টা লেগেছে।