দুই দশক আগেও ঢেউটিন বলতে ছিল জিংকের প্রলেপযুক্ত সাধারণ টিন। সময়ের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে ঢেউটিনেও রঙের ছোঁয়া লাগে। তাতে শুরু হয় রং ও পুরুত্বের বৈচিত্র্য। এখন এ খাতে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন পণ্য। কারখানার ছাদে এখন সাধারণ টিনের বদলে জায়গা করে নিয়েছে নানা ধরনের ঢেউয়ের টিন বা প্রোফাইল। প্রোফাইলের পাশাপাশি জিংক ও অ্যালুমিনিয়ামের প্রলেপযুক্ত ঢেউটিনসহ নতুন নতুন পণ্য যোগ হয়েছে এ তালিকায়।
ঢেউটিনে এ বৈচিত্র্য এসেছে ইস্পাতের পাতশিল্পের হাত ধরে। মূলত দেশের পাঁচ শিল্পগোষ্ঠী ঢেউটিনের বাজারে নতুন নতুন পণ্য যুক্ত করেছে। বৈচিত্র্য আনতে এ খাতে নতুন বিনিয়োগ করছে তারা। তাদের দেখানো পথে নতুন প্রতিষ্ঠানও বিনিয়োগে এগিয়ে এসেছে।
দেশীয় উদ্যোক্তাদের হাত ধরে এ শিল্পে আমদানিনির্ভরতা কমছে। তাতে সাশ্রয় হচ্ছে বৈদেশিক মুদ্রা। বাড়ছে কর্মসংস্থান। ইস্পাতের মতো মৌলিক শিল্পেও দক্ষ জনবল তৈরি হচ্ছে। ভবিষ্যতে ঢেউটিনের চাহিদা কমলেও তা নিয়ে দুশ্চিন্তা নেই উদ্যোক্তাদের। কারণ এ শিল্পে নতুন নতুন পণ্যের চাহিদা সৃষ্টি হচ্ছে।