গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ১৩ বছরের এক নাবালিকাকে অপহরণের পর ধর্ষণ মামলায় আসামি মোন্নাফ মিয়াকে (২৪) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ কাজে সহযোগিতা করার দায়ে আসামি মনি মিয়া (২৮) ও শাহিন মিয়াকে (২৫) ১৪ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গাইবান্ধার নারী ও শিশু ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক কে এম শাহিন আহম্মেদ এ আদেশ দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত মোন্নাফ মিয়া উপজেলার গ্রামের মৃত দক্ষিণ মরুয়াদহ ছাইদার রহমানের ছেলে। দণ্ডপ্রাপ্ত মনি মিয়া ওই গ্রামের গোলাম হোসেনের ছেলে ও শাহিন মিয়া উপজেলার পশ্চিম ছাপড়হাটি গ্রামের ছাইদার রহমানের ছেলে। আদেশের সময় তিন আসামিই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা গেছে, ২০১১ সালের ২৩ জানুয়ারি বিকেলে মরুয়াদহ এইচ এম কে দাখিল মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির ওই ছাত্রী প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিল। পথে মরুয়াদহ গ্রামের চৌরাস্তা থেকে তাকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যান মোন্নাফ। মোন্নাফকে সহযোগিতা করেন মনি মিয়া ও শাহিন মিয়া। প্রাইভেট পড়ে ওই ছাত্রী বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের লোকজন খুঁজতে থাকেন। খোঁজাখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে ১১ ফেব্রুয়ারি ভুক্তভোগী ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মোন্নাফ, মনি ও শাহিনকে আসামি করে সুন্দরগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। পরে ৮ মে অপহরণের পর ধর্ষণের অভিযোগ এনে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী গুলশান নাহার মুনমুন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।