ভারতে ২০২১ সালে আত্মহত্যার কারণে ১ লাখ ৬৪ হাজারের বেশি মৃত্যু নথিভুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ প্রতিদিন গড়ে ৪৫০ জন অথবা প্রতি ঘণ্টায় ১৮ জন মানুষ আত্মহত্যা করেছে বছরটিতে। সরকারি হিসাবে যা অন্য যে কোনো বছরের তুলনায় সর্বোচ্চ। ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরো (এনসিআরবি) প্রকাশিত 'অ্যাক্সিডেন্টাল ডেথস অ্যান্ড সুইসাইডস ইন ইন্ডিয়া-২০২১' প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদন থেকে আরো জানা যায়, যারা আত্মহত্যা করে মারা গেছে তাদের মধ্যে প্রায় এক লাখ ১৯ হাজার জন পুরুষ, ৪৫ হাজার ২৬ জন নারী এবং ২৮ জন তৃতীয় লিঙ্গের ছিল। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের আগের বছরগুলোর তুলনায় ২০২০ এবং ২০২১ সালে আত্মহত্যায় মৃত্যু অনেকাংশে বেড়েছে। ২০২০ সালে দেশটিতে এক লাখ ৫৩ হাজার মানুষ আত্মহত্যা করেছিল বলে এনসিআরবি প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে।
প্রতিবেদন থেকে আরো জানা যায়, ২০১৯ সালে আত্মহত্যায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল এক লাখ ৩৯ হাজার। ২০১৮ সালে যা ছিল এক লাখ ৩২ হাজার এবং ২০১৭ সালে ছিল এক লাখ ২৯ হাজার। ২০২০ এবং ২০২১ সালে যা দেড় লাখ ছাড়িয়ে যায়। এনসিআরবি ১৯৬৭ সাল থেকে ভারতের মৃত্যুর তথ্য নথিভুক্ত করছে। তখন দেশটিতে আত্মহত্যায় ৩৮ হাজার ৮২৯ জন মারা গিয়েছিল। ১৯৮৪ সালে প্রথমবারের মত দেশটিতে আত্মহত্যায় মৃত্যুর সংখ্যা ৫০ হাজার এবং ১৯৯১ সালে ৭৫ হাজার অতিক্রম করেছিল। ১৯৯৮ সালে এক লাখ চার হাজার ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছিল। এনসিআরবি তাদের ২০২১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলেছে, 'আত্মহত্যার বিভিন্ন কারণ রয়েছে, যেমন পেশাগত বা পেশাগত সমস্যা, বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি, অপব্যবহার, সহিংসতা, পারিবারিক সমস্যা, মানসিক ব্যাধি, অ্যালকোহলে আসক্তি, আর্থিক ক্ষতি, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা ইত্যাদি।