ঢাকার কেরানীগঞ্জের জিনজিরা মান্দাইল এলাকার একটি বাসায় গ্যাসের চুলার লিকেজ থেকে অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধ বেগম (৬০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এ ঘটনায় মারা গেলেন তিনজন। আরও তিনজন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের সবার অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বেগম। তার শরীরের ২৫ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এর আগে শুক্রবার দুপুরে মারা যান শাহাদাত হোসেন (২৫), তার শরীরের ৫২ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এ দুর্ঘটনায় মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) মরিয়ম (৮) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল। ওই অগ্নিকাণ্ডে দগ্ধদের মধ্যে ইদুনী বেগম (৫০), সোনিয়া আক্তার (২৬) ও ইয়াছিন (১২) চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের সবার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন আইউব হোসেন বলেন, এ দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে একজন আগেই মারা গেছে। আজ চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুজনের মৃত্যু হলো। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, কেরানীগঞ্জের জিনজিরা মান্দাইল এলাকার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন। এর আগে, মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে এক শিশুসহ একই পরিবারের ছয়জন দগ্ধ হন।