রামপালে ২৬৬০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রকল্পের ইউনিট-১ অক্টোবরে বাণিজ্যিকভাবে চালু করা হবে। এটি দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা আরও বাড়িয়ে তুলবে। এজন্য জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সফল সিঙ্ক্রোনাইজেশনসহ সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ভারত-বাংলাদেশ বিদ্যুৎ খাতের সহযোগিতাকে আরও শক্তিশালী করার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে ২৬৬০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের ইউনিট-১ ২০২২ সালের ১৫ আগস্টে সফলভাবে জাতীয় গ্রিডে ৯১.৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করে সিঙ্ক্রোনাইজেশন করা হয়েছিল। ১৬,০০০ কোটি টাকা আনুমানিক ব্যয়ে নির্মিত এ কেন্দ্রটির লক্ষ্য হলো দুটি ইউনিটে (প্রতিটিতে ৬৬০ মেগাওয়াট) মোট ১,৩২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরের সময় বিদ্যুৎকেন্দ্রের ইউনিট-১ নির্মাণের সমাপ্তি বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে ঘোষণা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কেন্দ্রটি পরিদর্শনকালে দেখা যায়, এ মেগা অবকাঠামো নির্মাণকাজ পুরোদমে চলছে, যা চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে কেন্দ্রের প্রথম ইউনিট এবং আগামী বছরের মার্চের মধ্যে দ্বিতীয় ইউনিটটি বাণিজ্যিকভাবে চালু করার লক্ষ্যে রয়েছে। প্রকল্পস্থলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে জানান, তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে কারখানাটির প্রথম ইউনিট বাণিজ্যিকভাবে চালানো হবে।