ফরিদপুরের ভাঙ্গায় সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার স্কুলছাত্রী (১৫) কীটনাশক পানের পর চিকিৎসাধীন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছে।
আজ সোমবার বেলা ১২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গত বুধবার রাতে সে কীটনাশক পান করে। গত শুক্রবার রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
কিশোরীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া।
বাচ্চু মিয়া বলেন, ওই স্কুলছাত্রী কীটনাশক পান করে মারা গেছে। থানা পুলিশকে জানানো হয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে।
কিশোরীর বড় বোন জানান, তাঁদের বাড়ি ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলায়। ওই কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণিতে পড়ত। দুই বোন দুই ভাইয়ের মধ্যে সে ছিল তৃতীয়।
ঘটনার বর্ণনায় বড় বোন বলেন, গত বুধবার রাত ১০টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাড়ির বাইরে বের হয় কিশোরী। আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা রাব্বীসহ (২৩) আরও দুইজন তার মুখ চেপে ধরে পাশের জঙ্গলে নিয়ে তিনজন মিলে ধর্ষণ করে। পরে কাউকে না জানানোর জন্য হুমকি দেয়।
রাত ১২টার দিকে ঘরে ফিরে আসে কিশোরী। দেরি করে ফেরার কথা জিজ্ঞেস করলে কিছুই বলে না। শুধু বলে, ‘আমি বাঁচব না, মরে যাব!’ রাত ৩টার দিকে হঠাৎ চিৎকার করে বলে, ‘আমার বুক জ্বলে যাচ্ছে।’ সঙ্গে সঙ্গে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে ফরিদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।