বাজারে গিয়ে নজর পড়ল এক সবজি ক্রেতার দিকে। তিনি কিনলেন দুটি বেগুন, একটি বড় আকারের আলু ও কিছু ধনেপাতা। দোকানদার তাঁকে জানালেন তরকারিগুলোর দাম হয়েছে ২৮ টাকা। তিনি (ক্রেতা) বললেন, ৩০ টাকা মিল করে দিতে। ৩০ টাকা মিল করতে দোকানি তাঁকে আরও কিছু ধনেপাতা দিলেন।
এই একটি চিত্রই নিম্ন আয়ের মানুষদের বর্তমান পরিস্থিতিকে ফুটিয়ে তুলেছে। নিম্ন আয়ের অধিকাংশ মানুষ এখন কিনছেন কম, খাচ্ছেনও কম। কারণ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আকাশ ছোঁয়া দামে নাভিশ্বাস তাঁদের। যা আয় করেন তা দিয়ে ঠিকমতো মাস চলে না বললেই চলে।
রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, চালের দাম আগের চেয়ে চড়া। ধরনভেদ ৫ থেকে ১০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে চাল। এ ছাড়া কাঁচা সবজি ৬০ থেকে ৮০ টাকার কমে পাওয়া দুরূহ হয়ে পড়েছে। মাছের বাজারের অবস্থা আরও ভয়াবহ। ২০০ টাকা নিচে কোন মাছ বাজারে নেই।
বাজারভেদে বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা কেজিতে। শসার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। করলার দামও চড়া। বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা কেজিতে। আকারভেদে লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৮০ টাকায়। কাঁচামরিচের দাম রোববার একটু কম থাকলেও আজ আবার তা ২০০ ছাড়িয়েছে। পটোল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে। পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। কচুর মুখির দাম ৬০ টাকা।
রায়ের বাজারের কাঁচামাল ব্যবসায়ী আরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা বেশি দামে কিনে আনি, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হয়। আমরা তো ক্রেতা হারাতে চাই না। কিন্তু আমাদের বেশি দামে বিক্রি করা ছাড়া কোনো উপায় নাই। তেলের দাম বাড়ার পর থাইকা সবকিছুর দাম আড়তে বাড়ছে।’