পদ্মা সেতুতে শনিবার রেললাইন বসানোর কাজ শুরু করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ১৭ জুলাই মূল পদ্মা সেতুতে রেল বসানোর অনুমতি মেলে। সেতুর জাজিরা প্রান্তে শনিবার কেক কেটে, বেলুন উড়িয়ে, আতশবাজি ফুটিয়ে লাইন বসানোর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন রেলপথমন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন।
ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার নতুন রেলপথ নির্মাণকাজ শেষ হবে ২০২৪ সালের ৩০ জুন। এ পথে ৬ থেকে ৮টি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনার জন্য ১০০টি অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী কোচ ও লোকোমোটিভ কিনতে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে চুক্তি সম্পূর্ণ হয়েছে।
সেতুতে লাইন বসানোর শুভ উদ্বোধন শেষে রেলপথমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, আমাদের স্বপ্নও বাস্তবায়নের পথে। পদ্মা সেতু উদ্বোধন হয়েছে। এখন আমরা দ্রুততার সঙ্গে মূল পদ্মা সেতুসহ পুরো প্রকল্পে পুরোদমে কাজ শুরু করেছি। অতিরিত্ত জনবল, যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হচ্ছে প্রকল্পে। আমরা ২০২৪ সালের ৩০ জুনের মধ্যেই ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে যশোর পর্যন্ত নতুন রেলপথ নির্মাণ কাজ সম্পূর্ণ করব। এ পথে আমরা ৬ থেকে ৮টি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনার জন্য ১০০টি অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী কোচ ও লোকোমোটিভ সংগ্রহ করছি। এ পথে ১২০ থেকে ১৩০ মাইল গতি নিয়ে ট্রেন চলবে। পুরো পথে সড়কের সঙ্গে সরাসরি লেভেলক্রসিং থাকছে না। সবকটি লেভেলক্রসিং আন্ডারপাস করা হচ্ছে। ফলে পুরো গতি নিয়ে ট্রেন চলতে পারবে এ পথে।
মন্ত্রী বলেন আমরা আশা করছি, আগামী বছরের জুনে কমলাপুর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ট্রেন চালাতে পারব। ওই সময়টুকু চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। আমাদের কোনো ঘাটতি নেই, বড় ধরনের সমস্যাও নেই। তবে পাথরস্বল্পতা যাতে দেখা না দেয়- সেজন্য বিকল্প উৎস থেকে ভারত কিংবা অন্য কোনো দেশ থেকে পাথর আনার চেষ্টা চলছে, যাতে সঠিক সময়ের মধ্যে রেললাইন প্রস্তুত করে রেলসেবা চালু করা যায়। আগে সিলেটের মধ্যপাড়া থেকেও পাথর সংগ্রহ করা হতো। সেখানে পাথর উত্তোলনে সমস্যা দেখা দিয়েছে।