কুটির, অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র ও মাঝারি (সিএমএসএমই) খাতে ক্লাস্টার বা গুচ্ছভিত্তিক ঋণ দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ ক্ষেত্রে উদ্যোক্তাদের কোনো জামানত লাগবে না। বিদেশের আদলে বাংলাদেশেও এই প্রথা জনপ্রিয় করতে চাইছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ জন্য চলতি বছরেই এসএমই ঋণের ১০ শতাংশ গুচ্ছভিত্তিক ঋণ হিসেবে দিতে বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় সিএমএসএমই খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। গুরুত্বপূর্ণ এ খাতকে এগিয়ে নিতে গুচ্ছভিত্তিক অর্থায়ন বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় একটি ধারণা। বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় গুচ্ছগুলো যথাযথ পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখবে। এ জন্য সিএমএসএমই খাতে গুচ্ছ ভিত্তিতে সহজে ব্যাংকঋণ নিশ্চিত করতে নীতিমালা জারি করা হয়েছে।
নীতিমালায় ক্লাস্টারের সংজ্ঞায় বলা হয়েছে, সর্বোচ্চ ৫ কিলোমিটার সীমানায় অবস্থিত অনুরূপ, সমজাতীয় বা সম্পর্কযুক্ত পণ্য উৎপাদন বা সেবায় নিয়োজিত ৫০ বা ততোধিক উদ্যোগের সমষ্টিকে সামষ্টিকভাবে একটি ক্লাস্টার হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এ ক্ষেত্রে ক্লাস্টারের আওতায় অবস্থিত উদ্যোগগুলোর ব্যবসায়িক শক্তি, দুর্বলতা, সুযোগ ও হুমকি হবে একই ধরনের।
এতে আরও বলা হয়, চলতি ২০২২ সালে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সিএমএসএমই খাতে যে ঋণ দেবে, তার ১০ শতাংশ গুচ্ছভিত্তিক হতে হবে। পরবর্তী সময়ে এ লক্ষ্যমাত্রার পরিমাণ প্রতিবছর কমপক্ষে ১ শতাংশ হারে বাড়িয়ে ২০২৪ সালের মধ্যে কমপক্ষে ১২ শতাংশে উন্নীত করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনে এই লক্ষ্যমাত্রা পরিবর্তন করতে পারবে। ক্লাস্টারে যে ঋণ দেওয়া হবে, তার ৫০ শতাংশ বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত ক্লাস্টারে দিতে হবে। বাকি ৫০ শতাংশ দিতে হবে অন্য ক্লাস্টারে।