জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্বের অনেক ক্ষমতাধর দেশ ও সংস্থার কাছে সমর্থন ও সহযোগিতা চেয়ে পাননি বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে দেশিদের পাশাপাশি বিদেশিদের ষড়যন্ত্রও রয়েছে। তখন বিদেশে সফরকালে তাঁর ভূমিকা নিয়ে যাঁরা প্রশ্ন তোলেন, তাঁরা কিছুই জানেন না বা অপপ্রচার চালান। খন্দকার মোশতাকের মতো দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন না হলেও আওয়ামী লীগের ভেতর এখনও ষড়যন্ত্রকারী রয়েছে বলেও মনে করেন তিনি। বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহচর, সংবিধানের অন্যতম প্রণেতা ও বর্তমানে গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন সমকালকে একান্ত সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন সমকালের প্রধান প্রতিবেদক লোটন একরাম
সমকাল: বঙ্গবন্ধু হত্যার রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কী ছিল বলে মনে করেন?
ড. কামাল: তারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে সদ্য স্বাধীন দেশে বড় আঘাত এনেছে। তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য দেশকে আবার পরাধীন করা। তাদের ধারণা ছিল, তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) যদি মেরে ফেলতে পারে, তাহলে দেশকে আবার স্বাধীনতার আগের অবস্থায় নিয়ে যেতে পারবে। তারা এটাও মনে করেছিল, দেশে নেতৃত্বের অভাব হবে। তারা বুঝতে পারেনি যে, বঙ্গবন্ধু তাঁর সুযোগ্য নেতৃত্বের মাধ্যমে দেশের মানুষকে স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিতে পরিণত করেছেন, যাতে তাঁর অনুপস্থিতিতেও দেশকে আর কখনও পরাধীন করা সম্ভব নয়। তবে তারা একেবারেই সফল হয়নি, বলা যাবে না। স্বাধীনতাকে ধ্বংস করতে না পারলেও দেশকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছে। বিভিন্নভাবে ক্ষতি হয়েছে। এরপরও দেশ মোটামুটি একটি জায়গায় দাঁড়িয়েছে।