‘বাবা এরা আমাকে মেরে ফেলবে, আমাকে বাঁচাও’

যুগান্তর প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২২, ০৯:৩৫

‘বাবা এরা আমাকে মেরে ফেলবে, তাড়াতাড়ি আসো, আমাকে বাঁচাও’- শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন করে বাবার কাছে এভাবেই বাঁচার আকুতি জানান মেয়ে।পরদিন সকালে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি যান বাবা, কিন্তু পেলেন মেয়ের লাশ।


কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কাতলামারী এলাকার দিনমজুর মনিরুল ইসলাম একথা জানান।মনিরার স্বামী একই ইউনিয়নের নওদা আজমপুর এলাকার সজিব মোল্লা অনিক (২৮)।


রোববার সকালে মেয়ের শ্বশুরবাড়ি কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার সদরপুর ইউনিয়নের নওদাআজমপুর গেলে মেয়ে মনিরা খাতুন মিমের লাশ পান মনিরুল।


এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, যৌতুকের টাকার জন্য কিছুদিন পর পরই মিমকে মারধর করতেন তার স্বামী সজিব। এ নিয়ে পারিবারিক কলহ লেগেই থাকতো। গত ২ দিন ধরে মিমকে খেতে পর্যন্ত দেননি অনিকের মা রাজেনা খাতুন (৪০)। শনিবার বিকালে মিমকে মারধর করেন তারা।ওই সময় স্থানীয়রা তাদের বাধা দেয়। পরে রাতে আবার চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পায় প্রতিবেশীরা।সকালে সবাই জানতে পারে রাতে গলায় ফাঁস দিয়ে মারা গেছেন মিম।


মিমের বাবা মনিরুল ইসলাম বলেন, শনিবার (১৩ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে ফোন করে মিম। বলে ‘বাবা এরা আমাকে মেরে ফেলবে। আমাকে এসে নিয়ে যাও, আমাকে বাঁচাও। তাৎক্ষণিক জামাই অনিক ফোন নিয়ে বলে, আমার ২০ হাজার টাকা দরকার। কোথায় পাবেন তা জানি না। আমাকে টাকা দেন, না হলে আপনার মেয়েকে মারতে মারতে মেরে ফেলব।’ তখন আমি তাকে বলি, আমি গরিব মানুষ টাকা কোথায় পাব।মেয়েকে মেরে ফেললেও এখন টাকা দিতে পারব না।


তিনি আরও বলেন, ‘পরিবারের অমতে ৫ বছর আগে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ে করে মিম ও অনিক। পরে জামাইয়ের জন্য ১ লাখ টাকা নগদ দেওয়া হয়। এর কিছুদিন পর টাকা চাইলে আরও ৮০ হাজার টাকার মতো দেওয়া হয়। কিন্তু মেয়ের সুখ আসে না। এর আগেও টাকার জন্য মারধর করে অনিক। মাঝে মাঝে এমন মারধর করলে আমি এসে মেয়েকে একাধিকবার আমার বাড়িতে নিয়েও গেছি।’

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us