কে কাকে নাড়ছে

আজকের পত্রিকা মযহারুল ইসলাম বাবলা প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২২, ১১:২৯

বিগত বিএনপি-জামায়াত সরকারের শাসনামলে বিএনপিদলীয় সংসদ সদস্য যুদ্ধাপরাধী সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর (সাকা চৌধুরী) একটি উক্তি বেশ আলোচিত হয়েছিল। ‘কুকুরে লেজ নাড়ায়, না লেজ কুকুরকে নাড়ায়’। স্বীয় দলের নেতৃত্বের প্রতি ইঙ্গিত করে উক্তিটি করেছিলেন সাকা চৌধুরী।



দেশের মানুষের প্রচলিত ধারণাটি হচ্ছে আওয়ামী লীগ দলটি ধর্মনিরপেক্ষ না হলেও অসাম্প্রদায়িক। সেটা অসংগতও নয়। কেননা, এই আওয়ামী লীগের নেতৃত্বেই মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধে সুনির্দিষ্টভাবে গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা—এই তিন নীতির ভিত্তিতেই রাষ্ট্রের মূলনীতি নির্ধারিত করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। বাহাত্তরে সংবিধান প্রণয়নের সময় জাতীয়তাবাদ অন্তর্ভুক্ত করে শাসনতন্ত্রের চার প্রধান নীতি গ্রহণ করা হয়। ১৯৭১ সালের ২২ ডিসেম্বর মুজিবনগর সরকার ঢাকায় প্রত্যাবর্তন করে। ২৩ ডিসেম্বর সচিবালয়ের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বলেছিলেন, ‘সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা—এই তিন নীতির ওপর ভিত্তি করেই দেশকে গড়ে তোলা হবে।’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘এই মুক্তিযুদ্ধে যাঁরা প্রাণ দিয়েছেন, তাঁরা সংগ্রাম করেছিলেন আইনের শাসন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার পাশাপাশি শোষণ ও বৈষম্য চিরতরে অবসানের জন্য এবং একমাত্র সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই এ দেশের সকল মানুষের জীবিকা নিশ্চিত করা সম্ভব।’ ১০ জানুয়ারি ১৯৭২ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকালে দিল্লির সংবর্ধনা সভায় এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে দেওয়া ভাষণে অভিন্ন বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনিও সমাজতান্ত্রিক, গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশ রাষ্ট্র গঠনের প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন।



কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য সরকারপ্রধানরূপে তিনি আগের অবস্থানে অবিচল থাকতে পারেননি। সাংবিধানিক ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর প্রথম আঘাতটি আসে পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় ওআইসি সম্মেলনে যোগদানের মধ্য দিয়ে। ওআইসি একটি ধর্মভিত্তিক জোট। যার সব সদস্য মুসলিম রাষ্ট্র। যারা ধর্মনিরপেক্ষ নীতি অনুসরণ করে না। ওআইসিভুক্ত অধিকাংশ রাষ্ট্র আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেনি। বিপরীতে চরম বিরোধিতা করেছিল। পাকিস্তানের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদানে ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশকে ওই সম্মেলনে হাজির করে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক চেতনার অন্তর্গত ধর্মনিরপেক্ষতার ওপর প্রথম আঘাতটি এসেছিল। পরবর্তী সময়ে সামরিক শাসক জেনারেল জিয়া সংবিধান থেকে সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে বিদায় করে এবং নিষিদ্ধ ধর্মভিত্তিক রাজনীতি উন্মুক্ত করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির পথ প্রশস্ত করে দিয়েছিলেন। অপর সামরিক শাসক জেনারেল এরশাদ আরও এক কদম এগিয়ে রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম প্রবর্তন করেন। বর্তমান সরকার এরশাদের রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করে রাষ্ট্রের ওপর বিশেষ ধর্মের স্থায়ী মোড়ক এঁটে ধর্মনিরপেক্ষতাকে স্থায়ীভাবে নির্মূল করে দিয়েছে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us