মন্ত্রীরা বেশ ভালো বোঝেন। ছুটির দিন কয়েকজন সাংবাদিককে ডেকে তিনি জানিয়ে দিতে পারেন জ্বালানি তেলের দাম বাড়ছে। এরপর যা হয়। সে খবর প্রকাশ পেলেই ফিলিং স্টেশনে হুড়োহুড়ি। অনেক ফিলিং স্টেশনের কর্মচারীরাই নির্বিকার। আপাতত তেল সরবরাহ করা হবে না। আদেশ হয়েছে, রাত ১২টার পর বাড়বে তেলের দাম; অর্থাৎ মাত্র কয়েকটা ঘণ্টা অপেক্ষা করলেই যে দামে তেল কেনা হয়েছে, তা থেকে অনেক বেশি দামে বিক্রি করা যাবে। এটাকে প্যারাডক্স বলব কি না, জানি না—কম দামে তেল কেনার জন্য ফিলিং স্টেশনের লাইনে দাঁড়িয়েছে হাইব্রিড গাড়ি, বিএমডব্লিউ, মার্সিডিসের মতো গাড়িগুলোও।
পরিবহন সেক্টরের মানুষেরা খেপে উঠেছেন তাতে। অবশ্য সেটা সাময়িক। তাঁরা সে রাতেই ধর্মঘটের মতো কিছু একটা করেছেন। আজিমপুর থেকে গাবতলী পর্যন্ত বাস ছিল বন্ধ। মধ্যরাতে রাস্তায় যানজট। জনগণ পরিবহনশ্রমিকদের কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে বাধ্য হয়েছে। পরিবহন সেক্টরের এই ধর্মঘট সাধারণ মানুষের স্বার্থে নয়। পরিবহনের ভাড়া বাড়িয়ে কীভাবে জনগণের গলা কাটা যায়, তা ঠিক না হওয়া পর্যন্ত তারা এই তেজ দেখায়। তারপর যাত্রীদের কাছ থেকে সেই অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে। গ্যাসের দাম বাড়লে তেলে চলা গাড়ি যেমন যাত্রীদের কাছ থেকে বেশি টাকা আদায় করে, তেমনি তেলের দাম বাড়লে গ্যাসচালিত বাসও বেশি ভাড়া কাটে। এগুলো দেখার কেউ নেই।