জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে দেশের তৃণমূল থেকে সব মহলের অসন্তোষ আর চাপা নেই। এমনকি ‘অস্বস্তি’ আছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের মধ্যেও। সরকারের মন্ত্রী ও দলীয় নেতাদের বক্তব্যে তাই ‘নিরুপায়’ শব্দটি আসছে বারবার।
তারা মনে করেন সরকার নিরুপায় হয়ে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করেছে। এ নিয়ে ‘কিছু’ করা যায় কিনা সে বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনার আভাসও দিচ্ছেন তারা।
গত শুক্রবার দিবাগত রাতে হঠাৎ করেই ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দেয় সরকার। ওই দিন ১২টা থেকে তা কার্যকর হয়। মূল্যবৃদ্ধির হার ৪২ থেকে ৫১ শতাংশ। এ রকম বড় বৃদ্ধি দেশে আর কখনো দেখা যায়নি। অর্থনীতিবিদরা একে বলছেন অযৌক্তিক ও অস্বাভাবিক। জ্বালানি তেলের এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে জনমনে অসন্তোষ দেখা যাচ্ছে দুই দিন ধরে। এরই মধ্যে বেড়েছে বাসের ভাড়া। লঞ্চ আর পণ্যবাহী ট্রাকের ভাড়াও বাড়বে। প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পণ্যমূল্যে। সামনের দিনগুলোতে প্রায় সব নিত্যপণ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। ব্যবসায়ী নেতাদের বক্তব্যে এমনই শঙ্কা জানা যাচ্ছে।