আয়ে এগিয়ে আ.লীগ, ব্যয় বেশি বিএনপির

আজকের পত্রিকা প্রকাশিত: ০২ আগস্ট ২০২২, ১০:৩৩

কোটি মানুষের পছন্দের, লাখো সমর্থক বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর। ক্ষমতায় থাকলে দল থাকে চাঙা, না থাকলে নির্জীব। কিন্তু বছরের পর বছর নানা কর্মসূচি, দলীয় অনুষ্ঠান মিলে এসব রাজনৈতিক দল চালানো একটি বড় আর্থিক বিষয়ও বটে। কীভাবে টাকা পায় আওয়ামী লীগ কিংবা এক যুগের বেশি ক্ষমতায় না থাকা বিএনপি? এমন সব প্রশ্নের পরিষ্কার জবাব না মিললেও বছরে একবার জানা যায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর আয়-ব্যয়ের হিসাব।


২০০৯ সালে নির্বাচন কমিশন আইনের পরের বছর থেকে নিয়ম মেনে নিজেদের আয়-ব্যয়ের হিসাব দিয়ে আসছে দেশের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলো। যদিও ইসির এখতিয়ার নেই, তাই তারা সেই তথ্য প্রকাশ করে না। কিন্তু হিসাব জমা দেওয়া দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে প্রতিবছর প্রকাশ করা হয় সেসব তথ্য। যাতে আয়-ব্যয়ের হিসাবটা জানা যায়। এ বিষয়ে মানবাধিকারকর্মী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলগুলো তাদের দাতাদের নাম ও আয়ের উৎস না জানালে যে উদ্দেশে এই আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার নিয়ম করা হয়েছে, সেটাই অর্থহীন হয়ে যায়। এ ধরনের অস্বচ্ছ হিসাব কোনো জবাবদিহি প্রতিষ্ঠা করে না। গত রোববার ইসিতে ২০২১ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব নির্বাচন কমিশনে জমা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।


দলের কোষাধ্যক্ষ এইচ এম আশিকুর রহমান কমিশনের সচিব হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের কাছে এ হিসাব জমা দেন। জানা যায়, এক বছরে আওয়ামী লীগের আয় বেড়েছে প্রায় ১১ কোটি টাকা। আশিকুর রহমান জানান, এক বছরে আওয়ামী লীগের আয় হয়েছে ২১ কোটি ২৩ লাখ ৪৬ হাজার ১০৬ টাকা। এ সময় ব্যয় হয়েছে ৬ কোটি ৩০ লাখ ১৯ হাজার ৮৫২ টাকা। আয়ের বড় খাত মনোনয়নপত্র ও প্রাথমিক সদস্য ফরম বিক্রি। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে আওয়ামী লীগের আয় ছিল ১০ কোটি ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫৩৩ টাকা। ব্যয় করেছে ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩১ টাকা। অর্থাৎ গত এক বছরে আওয়ামী লীগের আয় বেড়েছে ১০ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ৫৭৩ টাকা। ব্যয় কমেছে ৩ কোটি ৬৪ লাখ ৩০ হাজার ৭৯ টাকা। 


একই দিনে ইসিতে জমা দেওয়া জাতীয় পার্টির গত এক বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাবে দেখা যায়, দলটির আয় বেড়েছে ১ কোটি টাকা। জাপার অতিরিক্ত মহাসচিব রেজাউল করিম ভূঁইয়া ইসি সচিব হ‌ুমায়ুন কবীর খোন্দকারের কাছে যে প্রতিবেদন জমা দেন, তাতে আয় ও ব্যয়ের খাত উল্লেখ ছিল না। ২০২১ সালে ব্যাংকে জমাসহ জাতীয় পার্টির আয় ছিল ২ কোটি ৯ লাখ ৮৫ হাজার ১৫৪ টাকা। একই সময়ে দলটি ব্যয় করেছে ৮৪ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৪ টাকা। বছর শেষে দলটির স্থিতির পরিমাণ ১ কোটি ২৫ লাখ ১৭ হাজার ২০ টাকা। এর আগে ২০২০ সালে জাপার আয় ছিল ১ কোটি ২৭ লাখ ৭২ হাজার ৮৭৭ টাকা ৫৪ পয়সা। আর ওই বছর দলটির ব্যয় হয়েছে ৭৬ লাখ ৪ হাজার ১২০ টাকা। উদ্বৃত্ত ছিল ৫১ লাখ ৬৮ হাজার ৭৫৭ টাকা ৫৪ পয়সা। 


এক যুগের বেশি সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি তাদের বার্ষিক হিসাব জমা দেয় গত ২৮ জুলাই। দলটি বলছে, তাদের আয়ের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা। গত বছরের তুলনায় বিএনপির আয় কমেছে ৩৮ লাখ ৪১ হাজার ৮১৯ টাকা। অন্যদিকে ব্যয় বেড়েছে ২৩ লাখ ৯৪ হাজার ৬৭১ টাকা। ২০২০ সালে বিএনপির আয় হয়েছে ১ কোটি ২২ লাখ ৫৪ হাজার ২৫৯ টাকা। ব্যয় দেখানো হয়েছে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৫২ হাজার ৫০০ টাকা। এর মধ্যে ঘাটতি এসেছে ৫১ লাখ ৯৯ হাজার ৩৬৪ টাকা। 
দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, এক বছরে বিএনপির আয় হয়েছে ৮৪ লাখ ১২ হাজার ৪৪৪ টাকা। কমিটির সদস্যদের মাসিক চাঁদা, মনোনয়ন ফরম বিক্রি, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদান এবং ব্যাংক এফডিআর থেকে এই টাকা আয় হয়েছে। তবে এই সময়ে দলটির ব্যয় হয়েছে ১ কোটি ৯৮ লাখ ৪৭ হাজার ১৭১ টাকা। কর্মচারীদের বেতন-বোনাস, ক্রোড়পত্র বিলসহ বিভিন্ন খাতে এই টাকা ব্যয় হয়েছে। এই হিসাবে আয়ের চেয়ে ১ কোটি ১৪ লাখ ৩৪ হাজার ৭২৭ টাকা বেশি ব্যয় করেছে বিএনপি। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

উপজেলা নির্বাচনের তফসিল হতে পারে কাল

প্রথম আলো | নির্বাচন কমিশন কার্যালয়
১ মাস, ১ সপ্তাহ আগে

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us