‘রোমে আমরা মানুষের সঙ্গে একটু ভিন্নভাবে আচরণ করি...’
এএস রোমার এই একটা টুইটেই যেন রোমের মানুষদের ফুটবলপাগল-সত্তাটা আরও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। ফ্রান্সেসকো টট্টি আর দানিয়েলে দি রসি যাওয়ার পর রোমের রাজার জায়গাটা শূন্যই পড়ে ছিল এত দিন। নতুন রাজা হিসেবে স্তাদিও অলিম্পিকোর ওই সিংহাসনটাকে কেউ আপন করে নিতে পারেননি।
মাঝে মোহাম্মদ সালাহ, এদিক জেকো, রাজ্জা নাইঙ্গোলান, নিকোলো জানিওলো কিংবা পেদ্রোদের মতো খেলোয়াড়েরা খেলে গেলেও রোমের মানুষকে শুরু থেকেই উদ্বেলিত করতে পারেননি কেউ। কেউই তারকাখ্যাতি নিয়ে রোমে আসেননি, রোমাকে জেতাতে পারেননি কোনো শিরোপা।
কিন্তু শিরোপা জয় কবেই বা রোমার মূল লক্ষ্য ছিল? এ শহরের মানুষেরা শিরোপার চেয়ে ফুটবল খেলাটাকেই বেশি পছন্দ করে। সারা সপ্তাহ মাথার ঘাম পায়ে ফেলার পর ছুটির দিনে স্তাদিও অলিম্পিকোতে গিয়ে নিজের দলকে জিততে দেখতে চায় রোমানিস্তারা। নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী লাৎসিওকে হারানোর গর্বটা যাদের কাছে সিরি আ জয়ের চেয়েও বেশি। দলের সবচেয়ে বড় তারকাটাকে যারা দেয় রোমান গ্ল্যাডিয়েটরের মর্যাদা।
রোমকে ভালোবেসে যারা টিকে যেতে পারেন, খেলোয়াড়ি দিক দিয়ে তাঁর সীমাবদ্ধতা থাকলেও রোমার সমর্থকদের কাছে সে খেলোয়াড়টার দামই সবচেয়ে বেশি হয়। মাথায় তুলে রাখা হয় তাঁকে।
রোমের মানুষদের সে ভালোবাসার ছোঁয়াই এবার পেলেন পাওলো দিবালা। জুভেন্টাস থেকে ফ্রি দলবদলে রোমায় নাম লেখানো এই দিবালাকে দলে আনার মাধ্যমে বহুদিন পর এমন তারকাখ্যাতির কাউকে নিজেদের করে নিতে পারল রোমা। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে দিবালাকে নিজেদের খেলোয়াড় হিসেবে সমর্থকদের কাছে পরিচিত করে দিয়েছে রোমা। আর দলটার সমর্থকেরা দিবালাকে বরণ করে নিয়েছেন রাজার মতো।