সাবেক শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জী? মন্ত্রী পার্থকে কি ঝেড়ে ফেলতে পারবে তৃণমূল? গত শুক্রবার (২২ জুলাই) এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই দ্বিধা বিভক্ত তৃণমূলের কংগ্রেসের পাওয়ার সেন্টার। টানাপোড়েনে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব।
এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বলেন, দল এবং সরকারের সঙ্গে ওই ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই। যে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ কর্মকর্তা রাজীব কুমারকে বাঁচাতে রাস্তায় নামেন, দলনেত্রী নিজাম প্যালেসে সিবিআই ঘেরাও করে দিতে সময় নেননি। পার্থর গ্রেফতারে তার এমন অবস্থান তৃণমূলের ভেতরে সংশয় তৈরি করেছে। এদিকে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, দলনেত্রীকে ফোন করেছিলেন তিনি। একাধিকবার ফোন করলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশে দল আছে কি নেই? কিছুই বোঝা যাচ্ছে না।
পাশে দল আছে আবার নেই। এত বড় কেলেঙ্কারির পর পার্থ এখনও দলের মহাসচিব পদেই আছেন। আবার মন্ত্রীর পদ থেকেও তাকে সরানো হয়নি। ইডির দাবি, শুক্রবার একবার দুবার নয়, একাধিকবার ফোন করেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ফোন বেজেছিল। কিন্তু ফোন তোলেননি মুখ্যমন্ত্রী। নিয়োগ দুর্নীতির কলঙ্কের দায় থেকে হয়তো মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে দূরে রাখতে চাইছেন। এমন গুঞ্জনও শুরু হয়েছে। দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে কলকাতা হাইকোর্ট বলছিল শিক্ষা দফতরে দুর্নীতি হয়েছে। ইডি ও সিবিআইকে আদালত দ্রুত তদন্ত করার জন্য নির্দেশ দিয়েছিল। আর সেই জায়গা থেকে প্রথমে সিবিআই ও পরে ইডি ডেকে পাঠায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও বর্তমান শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে।