দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আজ রবিবার থেকে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এটি চলবে আগামী ৩১ জুলাই পর্যন্ত। এতে নির্ধারিত কোনো আলোচ্যসূচি থাকছে না। রাজপথের প্রধান বিরোধী দল বিএনপিসহ নিবন্ধিত দলগুলোর একাংশ এই সংলাপে অংশ নেবে না বলে আগেই আভাস মিলছে।
এ অবস্থায় সংশ্লিষ্ট অনেকে বলছেন, কমিশন এ সংলাপ থেকে কী অর্জন করতে চাচ্ছে, সেটিও স্পষ্ট নয়। কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতিটি নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করে থাকে। এ কমিশনও সেই ধারা অব্যাহত রাখছে।
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ গতকাল শনিবার কালের কণ্ঠকে বলেন, প্রথম দিকে যেসব দলের সঙ্গে সংলাপ হবে, সেসব দলকে এরই মধ্যে চিঠি দেওয়া হয়েছে। বাকি দলগুলোর কাছে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।
নির্বাচন কমিশন থেকে আগেই জানানো হয়েছে, প্রতিটি দল থেকে ১০ জন করে প্রতিনিধি অংশ নিতে পারবেন। সংলাপে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির জন্য দুই ঘণ্টা করে সময় রাখা হয়েছে। অন্য দলগুলো সময় পাবে এক ঘণ্টা করে।
এ সংলাপে নির্বাচন কমিশনের প্রত্যাশা কী—এ প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবীব খান এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘কমিশনের কাছে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রত্যাশা কী, তা জানার জন্যই এই সংলাপের আয়োজন করা হয়েছে। আমরা দলগুলোর বক্তব্য শুনব এবং আমরাও আমাদের মতামত জানাব। এ ধরনের সংলাপ চলমান থাকবে। সংলাপে যাঁরা আসবেন তাঁদের চাহিদার কথা যেমন জানব, তেমনি যাঁরা আসবেন না তাঁদের সঙ্গেও পরে আলোচনার চেষ্টা করব। এ বিষয়ে আমাদের আন্তরিকতা ও প্রচেষ্টার কোনো ঘাটতি থাকবে না। ’