টেস্ট ও টি-টোয়েন্টিতে হারলেও ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পাত্তাই দিচ্ছে না সফররত বাংলাদেশ। গায়ানায় অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৯ উইকেটে হারিয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করল টাইগাররা। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে মিরাজ-নাসুমের ঘূর্ণিতে মাত্র ১০৮ রানে গুটিয়ে যায় উইন্ডিজ। রান তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেট ও ১৭৬ বল হাতে থাকতেই জয় পেয়ে যায় টাইগাররা। তাতেই ক্যারিবিয়ানদের বিপক্ষে টানা পঞ্চমবারের মতো ওয়ানডে সিরিজ জিতল বাংলাদেশ।
সিরিজের প্রথম ম্যাচেও ব্যাটে-বলে আধিপত্য বিস্তার করেছিলো বাংলাদেশ। প্রথমে ব্যাট করতে নামা ওয়েস্ট ইন্ডিজ সেদিন সবকটি উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানে অলআউট হয়েছিলো। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৬ উইকেট ও ৫৫ বল হাতে রেখেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে গিয়েছিলো তামিম ইকবালের দল। তাই বাংলাদেশের সামনে সুযোগ ছিলো এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জেতার।
সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল খান। দলনেতার সিদ্ধান্তটা যে যথার্থই ছিল, বল হাতে সেটারই প্রমাণ দেন বাংলাদেশের বোলাররা। শুরু থেকেই উইন্ডিজের ব্যাটারদের চাপে রাখার পর ইনিংসের ১১তম ওভারে স্বাগতিকদের ওপেনার কাইল মেয়ার্সকে ফেরান তাসকিন আহমেদের বদলি হিসেবে খেলতে নামা টাইগার স্পিনার মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আউট হওয়ার পূর্বে ৩৬ বলে ১৭ রান করেন মেয়ার্স। পরের উইকেটে খেলতে নামা শামারাহ ব্রকসকে মাত্র ৫ রানে সাজঘরে ফেরান নাসুম আহমেদ।
এরপর নাসুম-মিরাজদের ঘূর্ণিতে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দল। বাংলাদেশের বোলাররা ক্যারিবিয়ান ব্যাটারদের এতটাই চাপে রাখে যে, কিমো পাওয়েল ছাড়া কেউই ব্যক্তিগত স্কোর বিশের ঘরে নিয়ে যেতে পারেননি। ১৮ রানে সাই হোপ, ১১ রানে ব্রেন্ডন কিং, শূন্যরানে অধিনায়ক নিকোলাস পুরান, ১৩ রানে রোভম্যান পাওয়েল, ২ রানে আকেল হোসেন, ৪ রানে রোমারিও শেফার্ড ও শূন্যরানে আউট হন আলযারি জোসেফ।
শেষ উইকেটে গুদাকেস মোতিকে সঙ্গে নিয়ে দলীয় স্কোরটা একশর ঘর পার করেন কিমো পাওয়েল। কিন্তু মোতিও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকে থাকতে পারেননি। তাকে নিজের চতুর্থ শিকার বানান মেহেদি মিরাজ। আউট হওয়ার আগে ৬ রান করেন মোতি। এদিকে সর্বোচ্চ ২৫ রানে অপরাজিতই থাকেন কিমো পাওয়েল।
বাংলাদেশের পক্ষে ৮ ওভারে মাত্র ২৯ রানের খরচায় সর্বোচ্চ চারটি উইকেট নেন মেহেদি হাসান মিরাজ। ১০ ওভারে মাত্র ১৯ রানের খরচায় তিনটি উইকেট পেয়েছেন নাসুম আহমেদ। এছাড়া শরিফুল ইসলাম ও মোসাদ্দেক হোসেন একটি করে উইকেটের দেখা পেয়েছেন।