বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে নয় ধরনের কমিটি থাকতে হয়। এর মধ্যে তিনটি কমিটির সভাপতি থাকেন উপাচার্য (ভিসি)। অন্য তিন কমিটির সভাপতি হন উপাচার্যের মনোনীত শিক্ষক। আর বাকি তিনটি কমিটিতে সভাপতি থাকেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সদস্যরা। এই তিন কমিটিতেও সদস্য হিসেবে থাকেন উপাচার্য এবং একটিতে কোষাধ্যক্ষের (ট্রেজারার) থাকার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। উপ-উপাচার্যও (প্রো-ভিসি) সদস্য হিসেবে থাকেন একাধিক কমিটিতে। অথচ অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ ছাড়াই কমিটিগুলোর কার্যক্রম চলছে। এতে করে আর্থিকসহ নানা বিষয়ে অস্বচ্ছতা দেখা দিয়েছে।
দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে ১০৮টি। এর মধ্যে ২৩টিতেই উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ পদে কেউ নেই। ৩৮টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই। ৮০টিতে উপ-উপাচার্য নেই এবং ৪৯টিতে কোষাধ্যক্ষ নেই।
সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) পাঠানো এ সংক্রান্ত তথ্যে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। নানা অনিয়মের দায়ে ২৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ইউজিসি তদন্ত করছে বলেও জানা গেছে।
ইউজিসির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম দেশ রূপান্তরকে বলেন, ‘উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ না থাকলে ওই বিশ্ববিদ্যালয় ভালোভাবে চলতে পারে না। আমরা সবসময়ই এ তিনটি পদ পূরণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বলে আসছি। কিন্তু তারপরও হচ্ছে না।’ তার ভাষ্য অনুযায়ী, ‘এসব পদে জনবল না থাকার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। একটি কারণ হতে পারে উপাচার্য পদে যোগ্যতা অনুযায়ী শিক্ষক না পাওয়া। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতেও চান না। আরেকটি কারণ হচ্ছে ট্রাস্টিরা