সেতুর ভূগোল, সেতুর মনোভূমি

আজকের পত্রিকা সৌমিত জয়দ্বীপ প্রকাশিত: ৩০ জুন ২০২২, ১৯:১৮

পদ্মা, প্রমত্তা পদ্মা! তার ওপরে সেতু। একটা বিশ্বকাপ জয়ের চেয়েও এ অর্জন মহীয়ান! জাতীয়তাবাদী যে মন জাদুটোনার মিথ ও ট্যাবুতে অভ্যস্ত, তার জন্য প্রকৃত ও বাস্তবিক জাতীয়তাবাদী হওয়ার এটাই উৎকৃষ্ট সময়!


কিন্তু জাতীয়তাবাদী হওয়ার প্রকৃত সংকট হলো বয়ানের অতিরঞ্জন। এবং সেই অসততারই জয় হয় জাতীয়তাবাদী চেতনার গা-জোরিতে। জাতীয়তাবাদের ক্ষমতা না হলেও চলে, সংখ্যা আর অনুভূতিই তার ক্ষমতা। উদাহরণ খুঁজে পাবেন ভূরিভূরি। 


‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ আরও একবার হাতে নিন। দেখবেন লেখা আছে, দেশভাগের আগে বঙ্গবন্ধু ঢাকায় এসেছিলেন মাত্র দু-একবার (পৃ.৮৩)। ১৯৪৭ সালের আগে তাঁর পুরোটা রাজনৈতিক অর্জনের কোলজুড়ে আছে কলকাতা।


অবিভক্ত বঙ্গ তথা ভারতের সবচেয়ে বড় বাঙালি জননায়ক নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু ঢাকায় এসেছিলেন পাঁচবার, ১৯২৪ থেকে ১৯৩৯ সালের মধ্যে। প্রতিবারই নানাভাবে সংবর্ধিত হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু ১৫ বছরে মাত্র পাঁচবার আসতে পেরেছিলেন বাংলার দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ শহরে, এ সংখ্যাটা কমই বৈকি! 
সুভাষ ও মুজিব—উভয়েই দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। কলকাতা ছিল তাঁদের রাজনীতির প্রাণভ্রমর। ফলে, ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগের হাইনেটওয়ার্ক তখন খুব অত্যাবশ্যক ছিল না। সেই দাবিও সামনে হাজির ছিল না।


কলকাতার অবস্থানটাও ভৌগোলিকভাবে চমকপ্রদ। একদিকে সে গঙ্গার তীরে (হুগলি নদী) জন্মেছে। আরেক দিকে এই গঙ্গাই যখন পদ্মা হয়েছে পূর্ববঙ্গে ঢুকে, তখন দেখা যাচ্ছে কলকাতা আসলে দক্ষিণবঙ্গের প্রাণকেন্দ্র হয়ে উঠেছে ‘রিভারলক’ হওয়ার কারণে। তখনকার বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা থেকে শুরু করে বরিশাল-খুলনা-যশোর হয়ে কলকাতা ছিল দক্ষিণবঙ্গের মানুষের ‘হরিহর’ মহানগর।


এই যে ফরিদপুরের মানুষ তখন এত কাছে থাকার পরও ঢাকামুখী না হয়ে কলকাতামুখী হয়েছিলেন, তার বড় কারণ ছিল প্রমত্তা পদ্মা। দক্ষিণবঙ্গের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগের প্রধান অন্তরায় ছিল এই পদ্মা, বহু বহু বছর। তার মানে একটা গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার কোনো সড়ক বা রেল যোগাযোগ ছিল না। এটা প্রণিধানযোগ্য বিষয়। 

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ঘটনা প্রবাহ

ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us