মাঝে কোভিডের চলে যাওয়া এবং এখন ফিরে আসা অতিমারি বা প্যান্ডেমিকের স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার মধ্যেই পড়ে। করোনাভাইরাস একটি এমআরএনএ ভাইরাস এবং এর বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এটি বারবার মিউটেশন করে। এ ভাইরাস ২০২০ সাল থেকে পৃথিবীতে বিরাজমান। তবে প্রকৃতিতে বিরাজমান সব ভাইরাসই করোনার মতো এত ছোঁয়াচে নয়। মানুষ থেকে মানুষে, এমনকি বিভিন্ন বস্তুতে লেগে থাকা অতি ছোঁয়াচে করোনাভাইরাস মানুষের শরীরে প্রবেশ করে সংক্রমণ ঘটায়।
প্যান্ডেমিক সাধারণত চার-পাঁচ বছর ধরে প্রকৃতিতে তার ধ্বংসলীলা চালায়। প্রথম ওয়েভ থেকে দ্বিতীয় ওয়েভ এবং দ্বিতীয় ওয়েভ থেকে তৃতীয় ওয়েভে এভাবে এ ভাইরাস মানুষের মাঝে ধ্বংসাত্মক হয়ে ওঠে। দেখা গেল, ছয়-সাত মাস পর একেকটি ওয়েভ আসে। এভাবে ধীরে ধীরে এ ভাইরাস তার অস্তিত্বের সংকটের জন্য ছোঁয়াচে ভাব আরও বাড়ায়; কিন্তু প্রাণঘাতী ভাব কমায়। এ অবস্থাকে লেস ভিরুলেন্ট বলে।
এ পর্যায়ে ভাইরাস মানুষের মধ্যে অসুস্থতা ও জীবন কেড়ে নেওয়ার হার কমায়। ধারণা করা হয়, কোভিডের পাঁচটি ওয়েভ বা ঢেউ থাকতে পারে। তৃতীয় ঢেউ আমরা দেখেছি। এখন চতুর্থ ঢেউ, যা ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের এক্সই গ্রুপ আমাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। বর্তমানে যে সংক্রমণ দেখতে পাচ্ছি, তার অধিকাংশ আন্তর্জাতিক ভ্রমণকারীদের মাধ্যমে ছড়াচ্ছে। অর্থাৎ দেশের বাইরে থেকে এ রোগ দেশে ছড়াচ্ছে।