শুরুতে বর্তমান নিবন্ধের অবতারণা নিয়ে দু-একটা কথা না বলে পারছি না। সম্প্রতি এক আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মসিউর রহমান পদ্মা সেতুর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করছিলেন। তিনি বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপর করা আমার এক গবেষণালব্ধ প্রভাব মূল্যায়নের প্রসঙ্গ টেনে আমাকে কৃতার্থ করেছেন বলে আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। সেই সূত্র ধরে বণিক বার্তার আমন্ত্রণে আজকের এ লেখার জন্য কলম ধরা—‘শেখ হাসিনার চ্যালেঞ্জ পদ্মা সেতু ও ‘আজি দখিন-দুয়ার খোলা’। তবে জানান দেয়া দরকার যে এ নিবন্ধে ব্যবহূত তথ্য-উপাত্ত বিভিন্ন উত্স থেকে ধার করে নেয়া এবং যদিসাৎ ভুলত্রুটির জন্য আগাম ক্ষমা প্রার্থনা করছি।
প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকারকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাই যে তিনি ২৫ জুন ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ স্বপ্নের এ সেতুর উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। স্বপ্নটা ছিল অনেক আগের, তবে সম্ভবত ২০১০ সাল থেকে সেই স্বপ্নে বিভোর হওয়ার প্রত্যয় প্রত্যক্ষ করা যায়। প্রাথমিক পর্যায়ের নকশায় সেতুটি অপেক্ষাকৃত ছোট ছিল কিন্তু নদীর বিদ্যমান বাস্তবতার নিরিখে প্রধানমন্ত্রীর স্বতঃপ্রণোদিত নির্দেশে সেতুটি দীর্ঘতর করা হয়। যা-ই হোক, এর আগে ১৯৯৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেছিলেন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ চার কিলোমিটার দীর্ঘ ‘বঙ্গবন্ধু সেতু’ (যমুনা বহুমুখী সেতু প্রকল্প) এবং মেঘনা-গোমতী দ্বিতীয় সেতুটিরও উদ্বোধনী ফিতা কাটেন তিনি নিজে। এই যে পদ্মা-মেঘনা-যমুনার ওপর তিন-তিনটা সেতু নির্মাণ করা হলো, তা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের গতিপথ নির্ণয়ে মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে এবং করবে। অতএব, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার অবকাঠামোগত উন্নয়নের সাফল্যে গর্ব বোধ করতেই পারেন।