গণতন্ত্র চাই, কিন্তু আসবে কি? আমাদের নিজেদের কথা থাক, ওই প্রসঙ্গ ওঠাতে গেলে গভীর দুঃখ উথলে ওঠে, অন্য দেশের কথাটাই ভাবতে হয়। ভারতে নির্বাচনে যে গেরুয়াধারী রামভক্তরা ক্ষমতায় এসেছেন, তাঁদের ভাবসাব কিন্তু মোটেই গণতন্ত্রীদের মতো নয়। সেখানে আবারও নির্বাচন হবে, তাতে বুর্জোয়া দলগুলো যে রামভক্তদের হটিয়ে সর্বভারতীয় রাষ্ট্রক্ষমতা দখলে নিতে পারবে, এমন ভরসা আপাতত দেখা যাচ্ছে না। বামপন্থীরা মোটামুটি ছত্রভঙ্গ দশাতে রয়েছেন। বড় রকমের পরিবর্তন প্রত্যাশা করা মোটেই ন্যায়সংগত নয়।
নির্বাচন হয়েছে বেলারুশেও। ছাব্বিশ বছর ধরে যিনি ক্ষমতায় রয়েছেন, আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো, তিনি এবারও জিতেছেন বলে দাবি করছেন। বিরোধীদের দাবি, নির্বাচন হয়নি, একটা প্রহসন হয়েছে মাত্র, ব্যাপক প্রতারণা ও কারচুপি ঘটেছে। মুখের কথা নয় শুধু, প্রবল বিক্ষোভ হয়েছে। বিরোধীদলীয় প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী, যিনি দাবি করেছেন তিনিই জিতেছেন, তিনি দেশের ভেতর থেকে আন্দোলনের যে নেতৃত্ব দেবেন তা পারেননি, গোপনে দেশত্যাগে বাধ্য হয়েছেন। আন্দোলনের পরও কিন্তু লুকাশেঙ্কো অনড় রয়েছেন। বোঝাই যাচ্ছে, সেনাবাহিনী তাঁর সঙ্গে আছে।
থাইল্যান্ডে যে নির্বাচন হয় না তা নয়, মাঝে মাঝেই হয়ে থাকে; কিন্তু দেখা যায় যারাই জিতুক, ঘুরেফিরে সেনাবাহিনীর কর্তারাই ক্ষমতায় আসা-যাওয়া করছেন। কিন্তু ঘটেছে ভিন্ন রকমের ঘটনাও। ছাত্ররা নেমে পড়েছিল রাস্তায়। ছাত্ররা অতীতেও একবার প্রবলভাবে নেমেছিল। সেই বিক্ষোভ দমন করেই সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসে।