দেশের কোনো ভয়ংকর অনিয়মে অন্য কোনো দেশের কথা বলার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এই ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ তত্ত্ব’ একেবারেই নতুন নয়। এটা পশ্চিমা কোনো দেশ তো বটেই, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা, দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা, মুক্ত গণমাধ্যম নিশ্চিতে কাজ করা সংস্থার রিপোর্টের পর আমরা নিয়মিত শুনি। প্রতিক্রিয়া হিসেবে সরকারের দিক থেকে পাল্টা নানা কটাক্ষ দেশ বা সংস্থাগুলোর প্রতি করা হয়েছে। কিন্তু এবার সেটা পেল প্রাতিষ্ঠানিক রূপ—পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রতিটি মিডিয়ায় মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে পাল্টা কোন কোন প্রশ্ন বাংলাদেশের সাংবাদিকদের করা উচিত, সেটার ব্যাপারে রীতিমতো নির্দেশনা দিয়েছেন।
নিজেদের নানা অন্যায় ও অনিয়ম নিয়ে আলোচনাকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য একধরনের দেশপ্রেমের ভান দেখা যায় সরকারের দিক থেকে এবং সেটাকে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয় জনগণের মধ্যে। এটা আসলে কার স্বার্থে হয়, সেটা বোঝার জন্য বাংলাদেশের কিছু ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে’ পশ্চিমাদের হস্তক্ষেপের প্রভাব আলোচনা করা যাক।