সম্পদের হিসাব দিতেই হবে

যুগান্তর প্রকাশিত: ২৯ মে ২০২২, ০৯:৪১

সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা-১৯৭৯ অনুযায়ী একাধিকবার সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাস্তবায়ন হয়নি। বিধিমালাটি সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার বেলা ৩টায় মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিতব্য প্রশাসনিক উন্নয়নসংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় বিধিমালার সংশোধন খসড়া উঠতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব দেওয়া বাধ্যতামূলক করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি থাকছে প্রস্তাবিত সংশোধনে। খবর সংশ্লিষ্ট সূত্রের।


জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব আবুল কাশেম মহিউদ্দিন যুগান্তরকে বলেন, সম্পদের হিসাব, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসহ প্রয়োজনীয় কিছু বিষয়ে সংশোধন প্রস্তাব করা হয়েছে। বিধিমালাটি সংশোধন হলে এ বিষয়গুলোতে সরকারি কর্মচারীরা স্পষ্ট ধারণা পাবেন।


জানা গেছে, সংশোধন প্রস্তাব অনুযায়ী সচিব সভায় বিধিমালাটি পাশ হলে সম্পত্তির হিসাব না দেওয়ার জন্য কোনো অজুহাতই দাঁড় করাতে পারবেন না সরকারি কর্মচারীরা। প্রতি বছর আয়কর বিবরণী জমা দিলেও সরকারের নির্ধারিত দপ্তরে সম্পদের হিসাব দেওয়া বাধ্যতামূলক হবে। ‘সরকারি কর্মচারী আচরণ বিধিমালা-২০২২’ চূড়ান্ত অনুমোদন পেলে এটি সরকারি চাকরি আইনের অধীন হবে। এর মাধ্যমে সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিষয়টি আইনি রূপ পাবে।


বিদ্যমান বিধিমালায় যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে সম্পদের হিসাব দেওয়ার বিধান থাকলেও আয়কর বিবরণীর বিষয়টি উল্লেখ নেই। ফলে যারা আয়কর বিবরণী জমা দেন, তারা এটিকে অজুহাত দেখিয়ে সম্পদের হিসাব সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। এর আগে একাধিকবার নির্দেশনা দেওয়ার পরও সম্পদের হিসাব দেননি বেশির ভাগ সরকারি কর্মচারী।


সংশোধিত বিধিমালার খসড়া অনুযায়ী, এনবিআরে সম্পদের হিসাব দিলেও সরকারি কর্মচারীদের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষকে পৃথকভাবে সেই হিসাব জানাতে হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারের নির্ধারিত ছক পূরণ করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে পাঁচ বছর অন্তর ডিসেম্বরের মধ্যে জমা দিতে হবে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us