কাউকে দেখলেই তার দিকে তেড়ে যাচ্ছেন সোমা আক্তার। বলছেন, ‘তুই খারাপ, তুই আমার মোবাইল চুরি করছোস, খাবার দিস নাই, তোরে পুলিশে দিমু।’ থুতু দেওয়ার ভয়ও দেখাচ্ছেন। সোমার স্বামী হারুন-অর রশিদ তাঁর কাছে গেলেই দু-চারটা চড়থাপ্পড় মারছেন। পাশ থেকে সোমার বৃদ্ধ মা তাঁর নাকে মেয়ের দেওয়া খামচির দাগ দেখিয়ে বলেন, ‘সারাক্ষণ জানের ভয়ে থাকতে হয়, নিজের পেটের মাইয়্যা, ফালাইয়্যা তো দিতে পারি না।’
এই সোমা সম্প্রতি ফিরেছেন সৌদি আরব থেকে। তিনি সেখানে গিয়েছিলেন নারী শ্রমিক হিসেবে। ৬ এপ্রিল দুপুরে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সোমা কিছুক্ষণ উদাসভাবে হাসপাতালের বিছানায় বসে ছিলেন, একটু পরেই বিছানা থেকে নেমে হাঁটা দিচ্ছিলেন। আর খেপে গেলে গালাগালি ও স্বামীকে মারধর করছিলেন। সোমার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২ এপ্রিল সৌদি আরব থেকে ফেরত আসেন সোমা। এরপর থেকে আপন মনেই কথা বলছেন অথবা হাসছেন।