রপ্তানি বাড়লেও উৎপাদন ব্যয় বেড়েছে অস্বাভাবিক

সমকাল প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০২২, ১২:৩৫

করোনার ধকল কাটিয়ে তৈরি পোশাকের রপ্তানি বাণিজ্য ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে গত বছরের এপ্রিল থেকে। রেকর্ড ৫০০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয় মাসটিতে। এরপর প্রায় প্রতি মাসেই আগের মাসের চেয়ে রপ্তানি বাড়ছে। তবে উদ্যোক্তারা বলছেন, ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে তাল মিলিয়ে মুনাফা বাড়ছে না। আমদানি পর্যায়ে শিল্পের কাঁচামালের দর বেড়েছে অস্বাভাবিক। এতে মুনাফার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।


চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গত এই আট মাসে রপ্তানিতে পোশাকের মূল্য পরিমাণে বেশি পাওয়া গেছে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২১ দশমিক ৮০ শতাংশ। অন্যদিকে এ সময় বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল আমদানি ব্যয় বেড়েছে প্রায় ৭৬ শতাংশ।


সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান সমকালকে বলেন, রপ্তানিতে রেকর্ড কিংবা রপ্তানি আদেশের ঢল সত্ত্বেও খুব বেশি ভালো নেই পোশাক খাত। যেসব কাঁচামাল আমদানি করা হচ্ছে, সেগুলোর দাম বেড়েছে অনেক। আর পোশাক রপ্তানি যতটুকু পরিমাণে বেড়েছে, দর সে হারে বাড়েনি। এ অবস্থার জন্য ব্র্যান্ড এবং ক্রেতাদের সঙ্গে পণ্যের দর নিয়ে আলোচনায় উদ্যোক্তাদের দুর্বলতাকে দায়ী করেছেন তিনি। তিনি মনে করেন, রপ্তানি আদেশ পেতে নিজেদের মধ্যে অন্যায্য প্রতিযোগিতাও এর অন্যতম কারণ। কিছু দেশের মতো পণ্যের জাতীয় একটি দর বেঁধে দেওয়ার ওপর গুরুত্ব দিয়ে অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নির্ধারিত ওই দরের কমে কেউ রপ্তানি আদেশ নেবে না। এ ছাড়া দর কষাকষিতে আরও দক্ষতা অর্জন করতে হবে।


তৈরি পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের আট মাসে আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে অর্থমূল্যে রপ্তানি বেশি হয়েছে ৪৬০ কোটি ডলার। এ সময় রপ্তানির পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৫৭১ কোটি ডলার। আগের অর্থবছরের এ সময়ে রপ্তানির পরিমাণ ছিল দুই হাজার ১১১ কোটি ডলার। এ সময় ১৮৬ কোটি কেজি পোশাক রপ্তানি হয়েছে বিশ্ববাজারে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এর পরিমাণ ছিল ১৬৪ কোটি কেজি।


বেশ কয়েকজন রপ্তানিকারক উদ্যোক্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, অনেক দিন ধরেই এ প্রবণতা চলছে। অনেক কারণে কাঁচামালের দাম অস্বাভাবিক বেড়েছে। কোনো কোনো ক্রেতা নিজ থেকে বর্ধিত ব্যয় পুষিয়ে দিচ্ছেন। এ রকম অনেকের মধ্যে স্কয়ার টেক্সটাইলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী সমকালের সঙ্গে নিজের এ রকম অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন। তবে সব উদ্যোক্তার ক্ষেত্রে বাস্তবতা এ রকম নয়। বেশিরভাগ উদ্যোক্তাদের পক্ষেই উৎপাদন ব্যয় অনুযায়ী মূল্য আদায় করা সম্ভব হয়নি।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us