রমজান একটি মাসের নাম। পুরো মাসের দিনগুলো যেভাবে রমজানের অংশ, রাতগুলোও সেভাবে রমজানের অংশ। দিনের ইবাদত হলো সিয়াম আর রাতের ইবাদত হলো কিয়াম। সিয়াম ও কিয়াম দুটিই যথাযথভাবে আদায় করার মাধ্যমে রমজানের দিন ও রাতের আমল পুরো হবে এবং মহান আল্লাহর প্রতিশ্রুত ক্ষমা অর্জন করা সম্ভব হবে, ইনশাআল্লাহ।
দিনের আমল সিয়াম বা রোজার প্রতি যত্নশীল হলেও অনেকের মধ্যে রাতের আমল কিয়ামের ক্ষেত্রে অলসতা পরিলক্ষিত হয়। এখানে কিয়ামুল লাইল নিয়ে আলোচনা করা হলো—
কিয়ামুল লাইল : কিয়ামুল লাইল অর্থ হলো রাতে দাঁড়ানো। অর্থাৎ রাত জেগে দীর্ঘ কিরাতসহ নামাজ আদায় করা। রাসুলুল্লাহ (সা.) এত দীর্ঘ কিরাতসহ নামাজ আদায় করতেন যে লম্বা সময় দাঁড়িয়ে থাকার কারণে তাঁর পা মোবারক ফুলে যেত। একান্ত মনে নফল নামাজ, মনোযোগের সঙ্গে বিশুদ্ধভাবে কোরআন তিলাওয়াত, অশ্রুবিজড়িত অবস্থায় আল্লাহর কাছে তাওবা, ইস্তিগফার ও ক্ষমা প্রার্থনা ইত্যাদিও কিয়ামুল লাইলের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
কিয়ামুল লাইলের মর্যাদা : রমজানে কিয়ামুল লাইলের মর্যাদা অপরিসীম। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি রমজান মাসে পূর্ণ বিশ্বাসের সঙ্গে সওয়াবের আশায় কিয়াম করে আল্লাহ তার আগের সব পাপ ক্ষমা করে দেন। (বুখারি, হাদিস : ১৯০৫; মুসলিম, হাদিস : ১৮১৫)