দিন দিন বাড়ছে মানুষের কর্মব্যস্ততা। বদলে যাচ্ছে খাদ্যাভ্যাস। অফিস শেষে বাজার করে বাসায় ফেরা, তারপর আবার রান্না! আর রমজান এলে তো কথাই নেই। ইফতার নিয়ে আবার বাড়তি খাটুনি।
কর্মজীবী নারীর ঝক্কির জীবনে যেন স্বস্তির পরশ এনেছে ফ্রোজেন ফুড। প্যাকেটজাত রুটি, পরোটা, শিঙাড়া, সমুচা, আলুপুরি, মুরগির নানা পদ বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্যাকেট খুলেই ঝটপট ভেজে ফেলা বা রান্না করা যায় বলে দেশে দ্রুত বাড়ছে হিমায়িত বা প্রস্তুত খাদ্যের বাজার। করোনা মহামারিতে এই খাবার আরো জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এখন ক্রেতাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে প্যাকেটজাত ফ্রোজেন খাদ্যপণ্য বাজারজাত করছে।
রাজধানীর বিভিন্ন দোকান ও সুপারশপে কথা বলে জানা যায়, কর্মব্যস্ততার পাশাপাশি করোনা মহামারিতে প্যাকেটজাত হিমায়িত খাবারের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আগে এমন খাবার কেনা নিয়ে মানুষ দ্বিধায় ভুগতেন। ভালো হবে, নাকি না—এমন নানা ভাবনা আসত তাঁদের মাথায়। অথচ এখন এক দিনে যা বিক্রি হয়, তা আগে এক সপ্তাহেও হতো না।
বাজার সারাবেলা সুপারশপের ম্যানেজার মামুন মাহমুদ বলেন, ‘হিমায়িত রুটি, পরোটা, শিঙাড়া, সমুচা, চিকেন মমো, চিকেন ফ্রাই, চিকেন নাগেটস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, চিকেন মিটবল—এসব খাবারের চাহিদা ৪০-৫০ শতাংশ বেড়েছে। ক্রেতারাও এসব প্যাকেটজাত ফ্রোজেন খাদ্য কিনে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন। ’ বাজারসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চার-পাঁচ বছর ধরেই হিমায়িত খাদ্যের বাজারে ভালো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, বছরে গড়ে প্রবৃদ্ধি এসেছে ২০ শতাংশ করে। বর্তমানে মাংস পণ্যসহ হিমায়িত খাদ্যের বাজারের আকার এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ কোটি টাকা হবে। করোনা সেই সম্ভাবনা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে আশা করা যায়, ২০২৫ সাল নাগাদ এই বাজার দ্বিগুণ বাড়বে ।