চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) কাঁধে ঋণের বোঝা। গত এক যুগে পানির সরবরাহ বাড়াতে প্রায় ৯ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ব্যয়ে চারটি বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছিল সংস্থাটি। এসব প্রকল্পের বড় অংশের অর্থায়ন হয়েছে বিভিন্ন সংস্থার ঋণে। বিদেশি তিন সংস্থা থেকে চার প্রকল্প বাস্তবায়নে ৬ হাজার ৩২৮ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। দীর্ঘমেয়াদী এসব ঋণের জন্য প্রায় ৬২৮ কোটি সুদ পরিশোধ করতে হবে সংস্থাটিকে। চলতি বছর থেকে ঋণের অর্থ পরিশোধের জন্য কিস্তি শুরুর কথা রয়েছে। ফলে ঋণের চাপে পড়তে যাচ্ছে সংস্থাটি। তবে কর্তৃপক্ষ বলছে, সরকারের সঙ্গে আরেকটি ঋণচুক্তি করেই এর সমাধান টানা হচ্ছে। তবুও সংস্থাটির রাজস্ব বৃদ্ধি না করলে সামনে কঠিন পথ পাড়ি দিতে হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চারটি প্রকল্পের মধ্যে দুটির কাজ সমাপ্ত হয়েছে। বাকি দুটি চলমান। এরমধ্যে কর্ণফুলি পানি সরবরাহ প্রকল্প (২য় পর্যায়) হলো চট্টগ্রাম ওয়াসার সবচেয়ে বড় প্রকল্প। প্রায় ৪ হাজার ৪৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটির অধীনে পানি শোধনাগার, ইনটেক স্টেশন, জলাধার, ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন পাইপলাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। ২০১৩ সাল থেকে শুরু হওয়া এই প্রকল্পটির কাজ ২০২৩ সালে সমাপ্ত হবে।