এডিস মশা বাড়ছে ঢাকায়

বার্তা২৪ প্রকাশিত: ০৬ এপ্রিল ২০২২, ০৮:৫৬

রাজধানী ঢাকায় বাড়ছে এডিস মশা। বর্তমানে আজিমপুর, শহীদনগর, কামরাঙ্গীর চর, হাজারীবাগ, উত্তরার কয়েকটি সেক্টর, গোড়ান, জুরাইন, রায়েরবাগ, শ্যামপুর, মোহাম্মদপুরের বছিলা, মিরপুরের পল্লবীসহ আরো কিছু এলাকায় মশার উৎপাত বেশি। এসব এলাকাসহ রাজধানীজুড়েই চলতি মাসে এডিস মশার উৎপাত বেড়েছে। ফলে এবার ডেঙ্গু ভয়ানক হয়ে আসতে পারে।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে গড় তাপমাত্রা বেড়েছে। এ ছাড়া বৃষ্টির ধরনেও পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। ফলে আগামী দিনগুলোতে মশকবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়বে। যার কারণে মশাবাহিত ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াজাতীয় রোগ প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়বে। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্ত সম্পর্ক বৃদ্ধি করতে হবে।


২৫ মার্চ থেকে গত শনিবার পর্যন্ত দুই সিটি করপোরেশনে পরিচালিত এক জরিপে দেখা গেছে, রাজধানীর প্রায় ৪.২৫ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা রয়েছে। কীটতত্ত্ববিদদের সমন্বয়ে গঠিত ২১টি দল রাজধানীর দুই হাজার ৫২০টি বাড়ি পরিদর্শন করে। এর মধ্যে ১১৪টি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভার উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এমন অবস্থায় দুই সিটি করপোরেশনকে নিয়মিত কাজের পাশাপাশি আরো উদ্যোগ নেওয়ার তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।


উত্তর সিটি করপোরেশন জানিয়েছে শুধু এডিস নয়, মশার উৎপাত বৃদ্ধি থামাতে নিয়মিত কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া হবে স্পেশাল অ্যাকশন। আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলছেন, দক্ষিণে মশা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এডিস মশা বৃদ্ধির কারণে ১০টি জোনে করা হচ্ছে সচেতনতামূলক সভা।


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ও কীটতত্ত্ববিদ কবিরুল বাশার গণমাধ্যমকে বলেন, এডিস মশা বাড়ার যে মাত্রা লক্ষ করা যাচ্ছে এটি সমস্যা সৃষ্টি করার আগে সচেতনতার সঙ্গে মোকাবেলা করা উচিত। গত বছরের তুলনায় এবার একই সময় এডিস মশা বেশি পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে যদি বৃষ্টিপাত বেড়ে যায় তবে এডিসের বংশবিস্তার আরো দ্রুত বাড়বে। তাই এখনই এডিসের প্রজনন স্পটগুলো ধ্বংস করতে হবে।


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এডিস মশার জন্ম হয় জমে থাকা পরিষ্কার পানিতে। এই মশার বংশবিস্তার ঠেকাতে সপ্তাহে অন্তত এক দিন বাড়ি এবং বাড়ির চারদিক দেখতে হবে। কোথাও কোনো পাত্রে পানি জমে আছে কি না; যদি থাকে, তাহলে তা ফেলে দিতে হবে বা পরিষ্কার করতে হবে। যদি পাত্রটি এমন হয় যে পানি ফেলে দেওয়া যাচ্ছে না, তাহলে সেখানে ব্লিচিং পাউডার বা লবণ দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, বাড়ির আঙ্গিনা বলতে শুধু বারান্দা বা নিকট জায়গা নয়। নিজের কক্ষের ভেতরের জিনিসগুলোর প্রতিও নজর রাখতে হবে। যেমন এসির পানি জমে আছে কি না, রুমের ভেতরে ফুলের টবে পানি জমল কি না—এসব বিষয় খেয়াল রাখতে হবে।


এ ছাড়া এডিস মশার বংশবিস্তার রোধে পুরনো টায়ার, ঢাকনাবিহীন চৌবাচ্চা, ড্রাম বা ব্যারেল, পোষা প্রাণীর পাত্র, নির্মাণাধীন ভবনের ব্লক, ফেলে রাখা বোতল ও টিনের ক্যান, গাছের ফোকর, দেয়ালে ঝুলে থাকা বোতল, পুরনো জুতা, ফুলের টব, পরিত্যক্ত খেলনা, ছাদে অঙ্কুরোদগম উদ্ভিদ, বাগান পরিচর্যার জিনিসপত্র, ইটের গর্ত ও অপরিচ্ছন্ন সুইমিং পুলে পানি জমতে দেওয়া যাবে না। কারণ জমে থাকা পানিতে এডিস মশা ডিম পাড়ে।

সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড়ুন
ট্রেন্ডিং

সংবাদ সূত্র

News

The Largest News Aggregator
in Bengali Language

Email: [email protected]

Follow us