বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজের জন্য বাংলাদেশে অবস্থান করছেন প্রায় দুই লাখ বিদেশি। তাদের মধ্যে অনেকের ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও তথ্য গোপন করে কাজ করছেন। সরকারি হিসাবে, দেশে অবৈধভাবে বসবাস করা বিদেশির সংখ্যা মাত্র ১২ হাজার। প্রকৃতপক্ষে সেই সংখ্যা আরও অনেক বেশি। অবৈধদের অনেকে আবার আন্তর্জাতিক অপরাধ চক্রের সঙ্গেও জড়িত। অপরাধ কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক প্রায় ৯০০ বিদেশি কারাগারে রয়েছেন।
জানা যায়, আইনশৃঙ্খলা সম্পর্কিত মন্ত্রিসভা কমিটির একাধিক বৈঠকে অবৈধভাবে বসবাসরত বিদেশিদের ফেরত পাঠানো নিয়ে আলোচনা হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিদের ডাটাবেজ সম্পন্ন করার কথাও বলা হয়। বিদেশি বন্দিদের ফেরত পাঠাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংশ্নিষ্ট দেশের দূতাবাসে চিঠি পাঠানো হয়। বন্দিদের ঠিকানা, বাবা-মাসহ পাসপোর্টে উল্লেখিত তথ্য যাচাই-বাছাই করে দূতাবাসের মাধ্যমে স্বদেশে ফেরত নিতে অনুরোধ জানানো হয়।
পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি ১২টি দেশের অবৈধ বসবাসরত ৭৬ নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়। এর মধ্যে চীনের ৩৯ জন, সোমালিয়ার ১৩, ভারতের ১০, নাইজেরিয়ার ৪, ফিলিপাইনের ২, ক্যামেরুনের ২, মালয়েশিয়ার ১, সুরিনামের ১, জার্মানির ১, ইয়েমেনের ১, লিথুনিয়ার ১ ও তুরস্কের ১ জন রয়েছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সমকালকে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশিদের গতিবিধি নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছে। অনেকের ভিসা ও পাসপোর্টের মেয়াদ শেষে অবৈধভাবে রয়েছে। এমনকি অস্ত্র, সোনা ও মাদক চোরাচালান, জাল মুদ্রা তৈরি, এটিএম কার্ড জালিয়াতির মতো অপরাধ কর্মকাে জড়িয়ে পড়ছে। অনেকের বিরুদ্ধে জঙ্গি কর্মকাে মদদ দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। যারা অপরাধে জড়াচ্ছেন, তাদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। তিনি বলেন, আটক বিদেশিদের ফেরত নিতে সংশ্নিষ্ট দেশের দূতাবাসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করা হয়েছে। কয়েকটি দূতাবাস সাড়া দিয়ে তাদের নাগরিকদের ফেরত নিয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও ফেরত পাঠানো হবে।