যাত্রা শুরুর দুই মাসের মধ্যে ঢাকা নগর পরিবহনের বাসের সংখ্যা ১০০ হওয়ার কথা। বাস রুট রেশনালাইজেশনের অংশ হিসেবে ২০২১ সালের ২৬ ডিসেম্বর ৫০টি বাস নিয়ে চালু হয় এই গণপরিবহনসেবা। কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত চলাচলকারী ঢাকা নগর পরিবহনের তিন মাস পূর্ণ হলো আজ। এর মধ্যেই নগরবাসীর কাছে বেশ গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে নগর পরিবহন। বেড়েছে যাত্রীসংখ্যাও। কিন্তু বাসের সংখ্যা না বাড়ায় যাত্রীসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানালেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে কাঙ্ক্ষিত সুবিধা ও সময়মতো বেতন-ভাতা না পাওয়ায় এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এই গণপরিবহনসেবায় নিয়োজিত ড্রাইভার, হেলপারসহ একাধিক কর্মী। তাঁরা জানান, ঢাকা নগর পরিবহনের ৫০টি বাসের মধ্যে ৩০টি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশনের (বিআরটিসি), বাকি ২০টি বাস ট্রান্সসিলভা নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের। বিআরটিসির বাসের কর্মীদের বেতন-ভাতা নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু ট্রান্সসিলভার বাসে কর্মরতরা নিয়মিত বেতন-ভাতা পাচ্ছেন না।
যাত্রীর চাপ বাড়ছে
খুব বেশি প্রচার-প্রচারণা ছাড়াই ঢাকা নগর পরিবহন চালু হওয়ায় শুরুতে যাত্রীদের সাড়া ছিল কম। কিন্তু সেবার মান ভালো হওয়ায় তিন মাসের মধ্যে চিত্র পাল্টে গেছে। গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ঘাটারচরের শহীদ বুদ্ধিজীবী চত্বরসংলগ্ন টিকিট কাউন্টারের সামনে গিয়ে দেখা গেল যাত্রীর জটলা। পাশেই দাঁড়ানো নগর পরিবহনের কয়েকটি বাস।
কাঁচপুরেও যাত্রীদের চাপ থাকে। কাঁচপুর এলাকার লাইনম্যান ও টাইমকিপার মো. রাজা বললেন, ‘আগের তুলনায় যাত্রী বেড়েছে, কিন্তু গাড়ির না বাড়ায় আসনসংকট তৈরি হচ্ছে। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও অনেকে বাসে উঠতে পারছেন না।’