ঢাকার ফুটপাত ঘিরে সক্রিয় চাঁদাবাজ চক্র। এরা রমজান মাসে সাড়ে চারশ কোটি টাকা আদায়ের মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছে। যারা চাঁদা তোলেন-তাদেরকে লাইনম্যান বলা হয়। এ লাইনম্যানদের মাধ্যমে তোলা চাঁদার টাকা যাচ্ছে রাজনৈতিক নেতাকর্মী, দুর্নীতিবাজ কিছু পুলিশ এবং অদৃশ্য গডফাদারদের পকেটে।
সূত্র জানিয়েছে, রাজধানীর ফুটপাতজুড়ে চাঁদাবাজি করে এমন অর্ধশতাধিক গ্রুপ রয়েছে। এসব গ্রুপে সদস্য সংখ্যা তিন শতাধিক। ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, মাঝেমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে চাঁদাবাজরা ধরা পড়ে। তবে কিছুদিন যেতে না যেতেই জামিনে বেরিয়ে যায়। আবার শুরু করে চাঁদাবাজি। তারা বলছেন, চাঁদা না দিয়ে ব্যবসা করা যায় না।
গুলিস্তান, মতিঝিল, ফার্মগেট, মিরপুর, উত্তরা, মোহাম্মদপুরসহ রাজধানীর প্রায় প্রতিটি এলাকার ফুটপাত দখল করে চলে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের বাণিজ্য। আর এসব ফুটপাতের চাঁদার টাকায় ফুলেফেঁপে উঠছে সংঘবদ্ধ চক্র। ২০২০ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজধানীতে মোট হকার আছেন তিন লাখ, যাদের গড়ে ১৯২ টাকা করে দৈনিক চাঁদা গুনতে হয়। তবে, যতদিন যাচ্ছে ততই চাঁদার পরিমাণ বাড়ছে।
মঙ্গলবার বিকালে গুলিস্তানে গিয়ে দেখা গেছে, ব্যস্ততম এই এলাকার ফুটপাতগুলোতে সারি সারি দোকান। আর মানুষ হাঁটছে সড়ক দিয়ে। এতে রাস্তায় যানজট আরও বাড়ছে। ঢাকা ট্রেড সেন্টারের চারপাশ, গুলিস্তান শপিং কমপ্লেক্সের সামনের ফুটপাত, গোলাপশাহ মাজার, ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড, সার্জেন্ট আহাদ পুলিশ বক্সের সামনের ফুটপাতে বসেছে কয়েকশ ভাসমান দোকান। ঢাকা ট্রেড সেন্টারের দক্ষিণ পাশের সড়কেও অর্ধেক দখল করে আছে, জুতা ও কাপড়ের ছোট ছোট দোকান।