প্রধানমন্ত্রীকে কোনো একজন শ্রমিকের বাড়িতে গিয়ে তার দুপুরের খাবারের প্লেটটা দেখে আসতে বলেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। দেশের দুই কোটি শ্রমিক পরিবারকে রেশন দেওয়ার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বেশি কিছু নয়, সপ্তাহে একবার ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, আধা কেজি চিনি, আধা লিটার তেল- এটা হলো ন্যূনতম দাবি।’
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি আয়োজিত গার্মেন্টস শ্রমিকদের ন্যুনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ এবং গার্মেন্টস শ্রমিকদের গণতান্ত্রিক ও মানবিক অধিকার নিশ্চিত করার দাবিতে আয়োজিত কেন্দ্রীয় সম্মেলনে এসব কথা বলেন ডা. জাফরুল্লাহ।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা বলেন, ‘আজ শ্রমিকরা যে কী করুণ অবস্থায় আছেন, সেটা দেখার জন্য আমি প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানাচ্ছি। অনুগ্রহ করে যেকোনো একজন শ্রমিকের বাড়িতে যান, তার দুপুরের খাবারের প্লেটটা দেখেন। তার প্লেটে কতটুকু পরিমাণ খাবার আছে দেখেন। আজকের শ্রমিকের যদি অন্ন না জোটে তাহলে দেশ টিকে থাকবে না। যদি কৃষক তার উৎপাদন না করে এই দেশ মানচিত্রেই সীমিত হয়ে যাবে।’ ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, ‘আপনি কি লক্ষ করেছেন, আপনার দুঃশাসন, অপশাসন বা ভুল শাসন লুকিয়ে রাখার ফলে কি হয়েছে? আট হাজার কোটিপতির সংখ্যা বেড়েছে। অপরদিকে দরিদ্র মানুষের হাহাকার হু হু করে বাড়ছে। আজকে কুইক রেন্টাল আবার আপনি রিন্যু করতে যাচ্ছেন। সর্বনাশ করবেন না। কুইক রেন্টালের যে টাকা তাদের পকেটে দেবেন তার এক পঞ্চমাংশ যদি কৃষক শ্রমিককে দেন দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবে, বাজারদর কমবে, কলকারখানায় হাসিমুখে শ্রমিকরা কাজ করবে।’