বাংলাদেশসহ পৃথিবীর অনেক দেশে কলা অন্যতম প্রধান ফল। কলা আঁশ ও ভিটামিনে ভরপুর থাকায় ‘সুপারফুড’ হিসেবে বেশ পরিচিত। ‘কলাগাছ’ বলা হলেও আদতে এটি বিশালাকৃতির তৃণ। সে অনুযায়ী কলাকে বেরি বা কুল গোত্রের ফল বলা যায়।
উষ্ণ জলবায়ু সম্পন্ন দেশগুলোতে কলা ভালো জন্মে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াই কলার উৎপত্তিস্থল। কলা দেশের যে কোনো স্থানে প্রায় যে কোনো প্রকার মাটিতে জন্মে।এদেশে কলা চাষের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, সারা বছর দেশের প্রায় সব অঞ্চলের উঁচু জমিতেই চাষ করা যায়। এছাড়া পার্বত্য এলাকার ‘বন কলা’, ‘বাংলা কলা’, ‘মামা কলাসহ বিভিন্ন ধরণের বুনোজাতের কলার চাষ হয়।
কলার গাছ, পাতা, কান্ড সবই সবুজ। কাঁচাকলাও সবুজ, পেকে গেলে হলুদাভ হয়। কলা গাছের বৈজ্ঞানিক নাম মুসা সেপিয়েন্টাম। বাংলাদেশে প্রায় ১৯টি কলার জাত রয়েছে।
কলা সহজলভ্য ফল হওয়ায় কলার প্রতি মানুষের চাহিদা রয়েছে প্রচুর। গ্রামে-শহরে সবখানেই এটি পাওয়া যায়। বাংলাদেশে বাণিজ্যিকভাবে কলার চাষ করা হয়। কলা বহুগুণে সমৃদ্ধ। বিদেশি দামি ফলের প্রতি না ঝুঁকে কম দামে দেশি ফল খাওয়াই ভালো। ছোট-বড় সকলেরই প্রতিদিন একটি করে কলা খাওয়া উচিৎ।