২০২১ সালে সরকার দেশের মোট ৮৪৫১ মেগাওয়াটের উৎপাদন ক্ষমতার ১০টি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাদ দিয়েছে, যা ছিল পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকাতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ। জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলনে সবচেয়ে বেশি দূষণকারী দেশগুলোর জবাবদিহি আদায়ের উদ্যোগ ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে জলবায়ু সংক্রান্ত লড়াইয়ের জন্য ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) প্রধান হিসেবে বাংলাদেশ নেতৃত্বের জায়গায় থেকে গত বছর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।
এছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি, জলবায়ু সহিষ্ণুতা ও প্রকৃতিভিত্তিক পদ্ধতির ওপর গুরুত্ব দিয়ে স্থানীয়ভাবে বাস্তবায়নযোগ্য অভিযোজন পদ্ধতি অন্তর্ভুক্ত করে ‘মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যান ২০৩০’ চূড়ান্ত করা হয়েছে। এছাড়া পরিবেশ অধিদফতর দেশের বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে গত দুই বছরে প্রায় ৭০০টি অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ বন অধিদফতর বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সারা দেশে ৭.২৭ কোটি গাছের চারা রোপণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সে জন্যে উপকূলীয় অঞ্চলের ৯ হাজার ৪০০ একর জমিতে ম্যানগ্রোভ বনায়ন এবং সারা দেশে ১,৮০২ কিলোমিটার স্ট্রিপ গার্ডেনিংয়ের মাধ্যমে গাছের চারা রোপণ করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। বছরটিতে পার্বত্য এলাকায় অতিবৃষ্টিতে পাহাড় ধস অন্যান্য বছরের চেয়ে কম ছিল।