ভোট শুরুর তিন দিন আগে প্রকাশিত বিজেপির নির্বাচনী ইশতেহারে শাসক দলের নেতারা যখন ‘লাভ জিহাদ’-এর হাজতবাসের মেয়াদ দ্বিগুণ বাড়িয়ে ১০ বছর ও জরিমানার অঙ্ক ১৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা করার প্রতিশ্রুতি বড় করে তুলে ধরেন, তখন বুঝতে অসুবিধা হয় না উত্তর প্রদেশে বিজেপির অবস্থান সত্যিই নড়বড়ে। নড়বড়ে খুঁটি পোক্ত করতে ধর্মীয় মেরুকরণের মন্ত্র এই শেষবেলাতেও তাঁদের প্রধান সাহারা।
দলের এই টলমলে হাল যে শুধু শেষবেলায় অনুভূত হয়, তা নয়। পক্ষকাল আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও রাজ্যের জাট নেতা প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং যখন নিয়ম করে রাষ্ট্রীয় লোকদল নেতা (আরএলডি) জয়ন্ত চৌধুরীর মানভঞ্জনের চেষ্টা করছিলেন, সমাজবাদী পার্টির (এসপি) নেতা অখিলেশের খপ্পর থেকে বের করতে নানাবিধ টোপ দিচ্ছিলেন, তখনো সেটা ছিল প্রকারান্তরে নিজেদের দুর্বলতারই প্রকাশ। হয়তো অসহায়তারও। সত্যি বলতে কি, গঙ্গা ও যমুনার মধ্যবর্তী এই বিস্তীর্ণ পশ্চিমাঞ্চল যে বিজেপির ‘ওয়াটারলু’ হতে পারে, ছয় মাস ধরে সেটাই ‘মিনি ইন্ডিয়া’ উত্তর প্রদেশের মূল আলোচ্য হয়ে জেগে রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার প্রথম দফার ভোট তাই এত গুরুত্বপূর্ণ।