শীত মৌসুমে দেশে সবজির উৎপাদন হয় গ্রীষ্মকালের দ্বিগুণেরও বেশি। এ বছর তার ওপর সবজির উৎপাদন বেড়েছে আগের বছরের তুলনায়। ছাড়িয়ে গেছে লক্ষ্যমাত্রা। এত উৎপাদনের পরও সবজির বাজারে স্বস্তি স্থায়ী হয়নি বেশি দিন।
শীত মৌসুমে দেশে সবজির উৎপাদন হয় গ্রীষ্মকালের দ্বিগুণেরও বেশি। এ বছর তার ওপর সবজির উৎপাদন বেড়েছে আগের বছরের তুলনায়। ছাড়িয়ে গেছে লক্ষ্যমাত্রা। এত উৎপাদনের পরও সবজির বাজারে স্বস্তি স্থায়ী হয়নি বেশি দিন।
এ বছর তুলনামূলক বাড়তি দামে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। সপ্তাহ দুয়েক আগ পর্যন্ত কিছুটা কম দামে কিনতে পারলেও শীতের মধ্যেই চড়ছে আলু ছাড়া সব ধরনের সবজির দাম। বেশির ভাগ সবজির দামই এক সপ্তাহে অন্তত ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। গড়ে এখন এক কেজি সবজি কিনতে খরচ হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর (ডিএই) বলছে, গ্রীষ্মকালে যে পরিমাণ সবজি উৎপাদন হয়, শীতে হয় তার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। এ সময় আবাদি জমির পরিমাণও বেশি থাকে। চলতি অর্থবছর (২০২১-২২) গ্রীষ্মে তিন লাখ ৩৮ হাজার হেক্টর এবং শীতে মৌসুমে ছয় লাখ ১০ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়। শীত মৌসুমের হিসাব এখনো আসেনি। তবে গ্রীষ্ম মৌসুমের আবাদ এরই মধ্যে লক্ষ্যমাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে। এখন পর্যন্ত তিন লাখ ৫৩ হাজার হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন সবজি আবাদ হয়েছে। আবাদ করা জমির সঙ্গে উৎপাদনও বেড়েছে। গ্রীষ্মে সবজি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬০ লাখ মেট্রিক টন। এরই মধ্যে ৬৩ লাখ ৬২ হাজার টন সবজি উৎপাদনের হিসাব পাওয়া গেছে।