সারাদেশে ঝোড়ো হাওয়া আর বৃষ্টি ঝরিয়ে দুর্বল হয়ে বিদায় নিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’। পটুয়াখালীর খেপুপাড়ার কাছ দিয়ে মোংলা-পায়রা উপকূল পেরিয়ে দুর্বল হলেও দেশের ১৫টি উপকূলীয় জেলায় ঝড়টি কমবেশি আঁচড় কেটেছে। কক্সবাজারের টেকনাফে বসতঘরের মাটির দেয়ালচাপায় এক পরিবারের চারজন নিহত হয়েছেন। টাঙ্গাইলে গাছের ডাল ভেঙে পড়ে এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ ও মিরসরাইয়ে শিশুসহ মারা গেছেন দু’জন। বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ভেঙে গেছে কাঁচা ঘর। ডুবে গেছে বেশ কিছু ট্রলার। বিচ্ছিন্ন ছিল বৈদ্যুতিক সংযোগ। রাতভর বিদ্যুৎহীন ছিল অনেক এলাকা।
ঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরে পণ্য খালাস বন্ধ ছিল। মোংলা বন্দরের পশুর চ্যানেলের কানাইনগরসংলগ্ন এলাকায় ডুবে গেছে কয়লাবোঝাই একটি লাইটার জাহাজ। ব্যাহত হয়েছে বিমান চলাচল। বন্ধ ছিল নৌযান চলাচল। টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েন রাজধানীসহ সারাদেশের মানুষ। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে মাঠের ফসলের। অনেক এলাকায় পাকা আমন ধান পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ক্ষয়ক্ষতির হিসাব শুরু করেছে।