ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাধারণ ছাত্ররা কি স্বাভাবিক শিক্ষাজীবনযাপন করতে পারছেন? উত্তর হচ্ছে-সাধারণ ছাত্রসমাজের একটি বড় অংশ তা পারছে না। তারা শারীরিক নির্যাতনসহ নানা ধরনের অনাচারের শিকার হচ্ছেন। আর এই অনাচার করে চলেছে ক্ষমতাসীন দলের সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীর একাংশ। ঢাবির প্রতিটি হলে অতিথিদের জন্য রয়েছে গেস্টরুম। রাতে এসব গেস্টরুমেই অনেক শিক্ষার্থী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের দ্বারা লাঞ্ছিত ও নির্যাতিত হচ্ছেন।
এক হিসাবে গত তিন মাসে বিভিন্ন হলে কমপক্ষে ৩০ জন শিক্ষার্থী গেস্টরুমে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হাতে নির্যাতন হয়েছেন। আর এসব ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ একরকম নীরব ভূমিকা পালন করে চলেছে। উল্লেখ্য, ৮টি নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাত্র একজন ছাত্রলীগ কর্মীকে শাস্তি দিতে পেরেছে।
ভুক্তভোগী সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ছাত্রলীগের রাজনৈতিক সভা-সমাবেশে যোগদানে আবাসিক হলের সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাধ্য করা হয়। তাদের কেউ সেখানে যেতে অনিচ্ছা প্রকাশ করলে তাকে ডেকে আনা হয় গেস্টরুমে। সেখানে সেই শিক্ষার্থীকে জবাবদিহি করতে হয়। কৃত অপরাধের (!) খেসারত হিসাবে গভীর রাতে তাকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। কখনো কখনো মারধরও করা হয়।