প্রস্তাবিত নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন আইন সম্পর্কে দেশের কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিক বলেছেন, পুরনো পথে হেঁটে নতুন গন্তব্যে পৌঁছানো সম্ভব না।
সরকারের উদ্যোগে সংসদে যে আইন পাস হতে যাচ্ছে, এ আইনে যাঁদের নিয়ে অনুসন্ধান কমিটি গঠন হবে এবং অনুসন্ধান কমিটির যে কার্যপদ্ধতি নির্ধারণ করা হচ্ছে তাতে বর্তমান কে এম নুরুল হুদা কমিশনের মতোই আরেকটি কমিশন হবে। অনুসন্ধান কমিটির অনুসন্ধানের তেমন সুযোগ থাকছে না। এ ছাড়া এই আইন হচ্ছে সরকারের ইচ্ছাপূরণের আইন।
বর্তমানে দেশের সাংবিধানিক পদগুলোয় এবং জাতীয় সংসদের বিরোধী দলে সরকারের অনুগত লোকজনেরই অবস্থান। এ অবস্থায় নির্বাচনকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা নিশ্চিত না হলে আগামীতে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব হবে না।
তাঁদের বক্তব্য, ‘বিভিন্ন অংশীজনের আপত্তির পরও এ আইন হয়তো সংসদে পাস হয়ে যাবে। তার পরও এ দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা আমাদের কথা বলে যাব। এখন কাজে না লাগলেও ভবিষ্যতে আমাদের কথাগুলো হয়তো কাজে লাগবে। ’
প্রস্তাবিত আইনটি জন-আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ তা নিয়ে আলোচনা এবং করণীয় নির্ধারণে নাগরিক সংগঠন সুজন গতকাল বুধবার এক গোলটেবিল বৈঠক করে।