সরকারের বাজেট ঘাটতির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে নেয়া ঋণের পরিমাণ বেড়েই চলছে। গত ডিসেম্বর শেষে এ উৎস থেকে নেয়া সরকারের ঋণের পরিমাণ ৬ লাখ ১৫ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে শুধু ২০২১ পঞ্জিকা বর্ষেই অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে সরকারের ঋণ বেড়েছে ১ লাখ ১৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ব্যাংক খাত থেকে ট্রেজারি বিল-বন্ড বিক্রির মাধ্যমে সংগৃহীত অর্থের পাশাপাশি সঞ্চয়পত্র বিক্রিসহ অন্যান্য উপকরণ ব্যবহার করে জনগণের কাছ থেকে এ ঋণ নিয়েছে সরকার।
প্রতি বছরই সরকারের বাজেট বড় হচ্ছে। কিন্তু বাজেটের আকারের সঙ্গে সংগতি রেখে রাজস্ব আয় বাড়াতে পারেনি সরকার। ফলে বাজেটের আকার বড় হওয়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ভারী হচ্ছে ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ। চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৩ হাজার ৬৮১ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও এ বাজেটের ২ লাখ ১৪ হাজার ৬৮১ কোটি টাকাই রাখা হয়েছে ঘাটতি বাজেটের খাতায়। দেশের জিডিপির ৬ দশমিক ২ শতাংশই বর্তমানে ঘাটতি বাজেট। এ ঘাটতি বাজেট পূরণের জন্য বিদেশী উৎসের পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস থেকেও ঋণ নেয় সরকার। এর মধ্যে জনগণের কাছ থেকে সরাসরি ঋণ নেয়া হয় সঞ্চয়পত্র বিক্রির মাধ্যমে। আর পরোক্ষ ঋণ নেয়া হয় ব্যাংকসহ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে ট্রেজারি বিল-বন্ড বিক্রির মাধ্যমে।