আমরা কেমন সেই প্রমাণই যেন রাখলাম নতুনের সূচনা লগ্নে। আনন্দ, উচ্ছ্বাস, উদযাপন করতেও যে আমরা অভ্যস্ত হইনি, ৩১ ডিসেম্বর রাতে সেই প্রমাণ পাওয়া গেলো। উদযাপনের এই প্রকাশ নতুন নয়। প্রতিবারই কোনও না কোনোভাবে আমাদের অনভ্যস্ততা প্রকাশিত হয়ে যায়। ফলে ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের বিধিতেও নতুন-নতুন শর্ত যোগ হয়। কিন্তু ওই বিধি বা নিষেধের মধ্যেই সুন্দর উদযাপন আয়োজনে আমরা অভ্যস্ত হতে পারিনি।
তিন-চার দশক আগেও নতুন ইংরেজি নববর্ষ বরণের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করতে মানুষ পথে নেমে আসতো। সপরিবারেই বের হতো রাত বারোটায়। শুরুতে নিরাপত্তা নিয়ে খুব একটা ভাবতে হতো না। তখন ঢাকায় এত ক্লাব, অভিজাত হোটেল, কফি শপ ছিল না। তবে রাজধানীর মানুষের ধারণা ছিল– ইংরেজি নববর্ষের সব আনন্দ বুঝি বড়লোক পাড়া গুলশান-বনানীতে। নগরীর অন্য এলাকা থেকে ওদিকেই ছুটে আসতো উৎসবের উত্তাপ খুঁজতে থাকা মানুষ। এখনও সেই চল আছে।