দেশের অধিকাংশ নৌ-দুর্ঘটনাই তদন্ত ও তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকে। এসব প্রতিবেদন অনুযায়ী দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও বলতে গেলে নেওয়া হয় না। কখনও কখনও দায়ী সংশ্নিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা কিংবা সাময়িক বরখাস্তের শাস্তি দিয়েই ঘটনার সমাপ্তি টানা হয়। পরে এই লঘু শাস্তিমূলক পদক্ষেপও উঠিয়ে নেওয়া হয়। তদন্ত প্রতিবেদনগুলোতে ভবিষ্যৎ দুর্ঘটনা এড়াতে যেসব সুপারিশ করা হয়, সেগুলোরও বাস্তবায়ন হয় না।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) নৌযান ও নৌযন্ত্র কৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মীর তারেক আলী বলেন, গত ৩০ বছরে সংঘটিত নৌ-দুর্ঘটনায় চারশ থেকে পাঁচশ তদন্ত কমিটি হয়েছে। অনেকে রিপোর্ট দিয়েছেন, অনেকেই দেননি। তবে জমা দেওয়া রিপোর্টে সব সময় সুপারিশ অন্তর্ভুক্ত থাকে। সেগুলো যদি সঠিক সময়ে ঠিকমতো বাস্তবায়ন হতো, তাহলেও দুর্ঘটনার মাত্রা অনেক কমিয়ে আনা যেত।