বিজয় দিবসের বিকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার প্রতিপাদ্য ছিল ‘বানান’। এখনও সেই আলোচনা চলমান। বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর শেখ রেহানা পোডিয়ামে এলেন, দাঁড়ালেন এবং দর্শক হিসেবে আমাদের সামনে ভেসে উঠলো পোডিয়ামে লেখা ভুল বানানটি। বিজয়ের দিনে শপথ নিতে তৈরি সকলেই মুজিববর্ষ ‘মুজিবর্ষ’ হয়ে যাওয়ায় স্তম্ভিত ও বিব্রত। ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। বানান নতুনভাবে তৈরি হলো কিনা এ নিয়েও সংশয় প্রকাশ করছিলেন কেউ কেউ। পরিস্থিতি কোন দিকে যায়, আওয়ামী লীগ সমর্থকরা বিষয়টি এড়িয়ে বা চেপে যাবেন কিনা বুঝে উঠতে পারছিল না কয়েকজন। তাই তারা ‘মুজিবর্ষ’ বানানটিকে হালাল করতে মাঠে নামতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু আওয়ামী লীগের কোনও শুভাকাঙ্ক্ষীর পক্ষে এই ভুল মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।
শুধু আওয়ামী লীগ নয়, বাংলাদেশের কোনও নাগরিকই ‘মুজিবর্ষ’ মেনে নিতে পারেন না। চলমান রাজনৈতিক সংস্কৃতির কারণে আওয়ামী লীগের সঙ্গে কারও বিরোধ বা দূরত্ব থাকতে পারে, কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এমন ভুল বাঙালির মেনে নেওয়ার কথা নয়। সেটাই হয়েছে। তাই প্রতিবাদে সরব হলেন সবাই। সেই আওয়াজ থামিয়ে দিতে কর্তৃপক্ষ যে প্রযুক্তির ব্যাখ্যা দিলো তা ধোপে টেকেনি। বরং দুই-একজন পুরনো উদাহরণ সামনে এনে দেখালেন– মুজিবর্ষ জুড়ে ভুল বানানটির ব্যবহার চলছিল। কেউ খেয়াল করেননি বা ভুল ধরাননি। কারণ কী? কারণ একটাই– দরদ দিয়ে কেউ দেখেনি। শুভাকাঙ্ক্ষীর চোখে দেখেনি কেউ। সকলে ছিলেন দায়সারাভাবে ইভেন্ট আয়োজনের ব্যস্ততায় বা ইভেন্ট ধরার ‘ধান্দায়’।