ভাত নিয়ে ক’দিন ধরে বেশ কথাবার্তা হচ্ছে। গত ২৪ অক্টোবর খাদ্যমন্ত্রী বাংলাদেশের ৫০ বছরে কৃষির উৎপাদন : রূপান্তর ও অর্জন শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, ‘আমরা অনেক বেশি ভাত খাই। ভাত খাওয়া কমাতে পারলে চালের ব্যবহার অনেক কমে যাবে।’ তিনি সহজ-সরলভাবে কথাটি বললেও ভেতো বাঙালির কানে কথাটি শুনে মনে কষ্ট পেয়েছে। ভাত খাওয়া কমানোর পরামর্শ কারও দারিদ্র্য অথবা ডায়াবেটিস রোগ হওয়ার দিকে ইঙ্গিত করে। অনেকে ভাবছেন, তাহলে দেশে কি ভাতের অভাব দেখা দিয়েছে? এদেশে পেটপুরে ভাত খেতে না পারলে কারও কারও রাতে ঘুমই আসে না এমন ঘটনাও ঘটে যে! ধানের দেশ গানের দেশ বাংলাদেশে একবেলা পেটপুরে ভাত খেতে না পারলে কি আর কারও মুখে ভাটিয়ালি, জারি-সারি গান বের হয়? রুটি খেলে তো আমাদের গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে যায়।