আবরার হত্যা মামলায় সাজা হয়েছে অপরাধীদের। এই হত্যা ঘটনার পর বুয়েট প্রশাসন সিদ্ধান্ত দিয়েছে যে ৭৫,০০০ টাকা করে মাসিক পারিতোষিক দেওয়া হবে আগামী ১২ বছর আবরারের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে।এমনকি মামলা পরিচালনার এবং মামলা চলাকালীন যাবতীয় খরচ বহন করছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। আপাতদৃষ্টে, এই সিদ্ধান্ত যথেষ্ট মানবিক আর প্রশংসার দাবিদার। কিন্তু আবরারের পরিবারের মতো ভাগ্য সহায় হয়নি ২০০৮ সালে বুয়েটে রাজনৈতিক ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলের দুইপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত সাবেকুন নাহার সনির পরিবারের বা ২০১৩-এর এপ্রিল মাসে হেফাজত কর্মীর হামলায় নিহত বুয়েট ছাত্র আরিফ রায়হান দ্বীপের পরিবারের।
সে সময় সনি ও দ্বীপের পরিবারের কারোরই জোটেনি বুয়েট প্রশাসন থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য বা উল্লেখযোগ্য কোনও সহযোগিতা। যদিও এক্ষেত্রে বুয়েট প্রশাসন দাবি করতে পারে যে অতীতের চেয়ে বর্তমানে অনেক বেশি মানবিক কর্তৃপক্ষ বুয়েট পরিচালনা করছে, তাই তাঁরা আবরারের পরিবারের জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে। তবে, বুয়েট কর্তৃপক্ষ যে যুক্তিই এখানে দেখাক না কেন, আসল উদ্দেশ্য হচ্ছে ‘restorative justice’ বা ‘প্রতিদানের বিচার’-এর ব্যবস্থা করা।